রক্তদাতারা মানবিক বীর: গোলাম দস্তগীর গাজী
১৪ মার্চ ২০২২ ২০:৩৮
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে আমরা অনেক বীর দেখেছি কিন্তু যারা রক্তদাতা তারা হলেন মানবিক বীর— এই মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)।
সোমবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘যখনই হাসপাতালে কোন কারণে রক্ত লাগবে, আত্মীয়-স্বজন পাওয়া গেলেও রক্তের গ্রুপ মিলছে না। তখন চিকিৎসকরা বলেছে রক্ত কর্মাশিয়াল হলে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন থেকে নেন। এই যে কথাটা ডাক্তাররাই বলে কোয়ান্টামের কথা। এটা অনেক বড় একটি সুনাম। এই সুনাম বেশ বাজারে রয়েছে সেটা যেন অটুট থাকে। স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির এই আয়োজনের জন্য কোয়ান্টামকে ধন্যবাদ। অনেকেই রক্ত দিতে চায় কিন্তু সেটার জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম লাগে। সেটা কোয়ান্টামের হয়েছে। যারা রক্ত দেয় তারা মানবিকভাবে দেশকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।’
তার দুই ছেলে রক্ত দান করে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার ছেলেরাও রক্ত দেয়। আমি তাদের সবসময় মানুষের পাশে থাকতে বলি। একদিন রাত ১১টার সময় আমি টেলিভিশন দেখছি তখন দেখি আমার দুই ছেলে শার্ট-প্যান্ট পরে বাইরে যাচ্ছে। তখন আমি জানতে চাইলাম এত রাতে কোথায় যাচ্ছে, বলে বাবা রক্ত দিতে যাচ্ছি। এটাও একটা দেশ সেবা। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে আমার ছেলেরাও রক্ত দেওয়া শিখেছে। রক্ত দিতে একটা অভ্যাস লাগে। মনে করে রক্ত দিলে হয়তো আমরা শেষ হয়ে যাবে। রক্ত দিলে যে রক্ত আবার হয় সেটা অনেকেই জানে না। অনেকেই ভয় লাগে, এই ভয় দূর করতে হবে।’
বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এই মার্চে স্বাধীনতা ঘোষণা করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। দেশ স্বাধীন না হলে আমরা প্যান্ট-শার্ট পরে অনুষ্ঠান করতে পারতাম না। কে কোথায় থাকতাম সেটাও জানি না। বাবুগিরি করে চলতে পারতাম না। পাকিস্তান আমলে আমরা কি অবস্থায় ছিলাম একটা প্ল্যাটফর্ম করারও সামর্থ্য ছিলো না। আমরা স্বাধীন হওয়ায় আমরা সেটা এখন পেরেছি।’
অনুষ্ঠানে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৩ শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। কমপক্ষে ৩ বার, ১০বার, ২৫ বার ও ৫০ বার স্বেচ্ছায় যারা রক্ত দিয়েছেন তাদের সম্মাননা দেওয়া হয়। আর স্বেচ্ছারক্তদাতাদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করে নাজিয়া ফারহানা এবং থ্যালাসেমিয়া রোগী রাকিবুল ইসলাম রুশো।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক এম রেজাউল হাসান এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার।
সারাবাংলা/এসজে/এমও