Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মহুয়ার মামলায় আসামির নাম নেই কেন— জানতে চান হাইকোর্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৪ মার্চ ২০২২ ২১:০১

ঢাকা: মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজংয়ের পা হারানোর ঘটনায় করা মামলায় আসামির নাম না থাকার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৪ মার্চ) মহুয়া হাজংয়ের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সঙ্গে ছিলেন মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম।

আদেশের পরে আইনজীবী জেড আই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, গত ২ ডিসেম্বর রাত ২টা ১৮ মিনিটে বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিংয়ে মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজং মোটরসাইকেলে থাকা অবস্থায় দুর্ঘটনার শিকার হন। ওই ঘটনায় একটি পা হারান তিনি। তিনি এখন বিকলাঙ্গ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। এ ঘটনার সময় সেখানে পুলিশ ছিল। আমরা যেটা জানি সেটা হলো দুর্ঘটনার পরে মোটরসাইকেল ও যে প্রাইভেটকারের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটেছে দুটোই থানায় নেওয়ার কথা। কিন্তু তা করা হয়নি। এমনকি এ ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিক কোনো জিডিও গ্রহণ করেনি। পরে এ ঘটনা নিয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। ঘটনার দুই সপ্তাহ পর আসামির নাম ছাড়া মামলা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কথা হলো আসামির নাম ছাড়া মামলা করতে মহুয়া হাজংকে বাধ্য করা হয়েছে। আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আজ আদালতে শুনানির সময় মহুয়া হাজংও উপস্থিত ছিলেন।

মামলা বিবরণে জানা যায়, রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি সংলগ্ন ইউলুপে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় পা হারিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজং।

মনোরঞ্জনের মোটরসাইকেল ইউলুপ পেরিয়ে মূল রাস্তায় ওঠার ঠিক আগ মুহূর্তে একটি প্রাইভেটকার ইউলুপে প্রবেশ করতে গেলে মোটরসাইকেলটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত হন মনোরঞ্জন। তিনি এখন বিকলাঙ্গ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।

দুর্ঘটনার পরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, একজন বিচারপতির ছেলে সে সময় প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন। এবং এ ঘটনার পর পুলিশ গাড়িটিকে থানায় নেওয়ার পরও ছেড়ে দিয়েছিল।

তারপর এ ঘটনায় মহুয়ার করা মামলা নিতে চাইছিল না বনানী থানা। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার মধ্যে শেষ পর্যন্ত মামলা নিলেও তাতে কোন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।

তবে এই ঘটনায় সেই বিচারপতির ছেলে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, মহুয়ার বাবা উল্টো দিক থেকে বাইকে করে এসে তার গাড়িতে আঘাত করেছেন। তিনি মানবিক কারণে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেননি।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এএম

টপ নিউজ মহুয়া হাজং


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর