ইসি’র ২য় সংলাপ ২২ মার্চ, আমন্ত্রিত সুশীল সমাজের ৩০ প্রতিনিধি
১৫ মার্চ ২০২২ ১৬:৪১
ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে করণীয় নির্ধারণে এবার সুশীল সমাজের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে আগামী মঙ্গলবার (২২ মার্চ) আয়োজন করা হয়েছে দ্বিতীয় এই সংলাপ। এতে আমন্ত্রণ পেয়েছেন সুশীল সমাজের ৩০ প্রতিনিধি।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে শুরু হবে এই বৈঠকটি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে চার নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেবেন।
এর আগে গত ১৩ মার্চ দেশের বিশিষ্ট ৩০ জন শিক্ষাবিদদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ইসির প্রথম সংলাপে। সেদিন সংলাপে অংশ নিয়েছিলেন ১৩ জন।
দ্বিতীয় সংলাপ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সারাবাংলাকে বলেন, আগামী ২২ মার্চ সকাল ১১টায় দ্বিতীয় এই সংলাপ আয়োজন করা হয়েছে। সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে এরই মধ্যে আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) থেকে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি দ্বিতীয় দিনের সংলাপে ৩০ জনের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জনের মতো উপস্থিত থাকবেন। গত ১৩ মার্চ প্রথম দিনের সংলাপটি বিকেলে হওয়ার কারণে অনেকেই নানা কারণে আসতে পারেননি। তাই এবার আমরা সকালে সংলাপের আয়োজন করেছি।
ইসির এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, আগামী নির্বাচনগুলো কীভাবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা যায়, এ সংক্রান্ত বিষয়ে সংলাপে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে আমরা মতামত শুনব। এরপর বুদ্ধিজীবী, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, সাংবাদিকদের সঙ্গেও সংলাপে বসার পরিকল্পনা রয়েছেন কমিশনের। তবে সবকিছু এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ইসি সূত্র জানায়, কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত কমিশনের আনুষ্ঠানিক কোনো সভা হয়নি। কমিশন সভা না করে কীভাবে নতুন কমিশন সংলাপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তবে নির্বাচন কমিশনাররা কমিশন সভা না করলেও নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধির সঙ্গে সংলাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, ২০১৭ সালে কে এম নুরুল হুদা কমিশনও দায়িত্ব নেওয়ার পর সমাজের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে ওই সংলাপ শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে নুরুল হুদা কমিশন ৪০টি রাজনৈতিক দল, নারী নেতৃত্ব, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল। নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরও একই পথে হাঁটছে।
এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কমিশনের বাকি সদস্য করা হয় সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান এবং সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমানকে।
পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইসির বাকি চার সদস্য শপথ নেন। পরদিন ২৮ ফেব্রুয়ারি তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ইসিতে যোগ দেন। এরপর ১৩ মার্চ তারা শিক্ষক ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপে বসেন।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর