Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সীমান্ত সড়কের’ অগ্রগতি ৩ বছরে ২০%, ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ছে দ্বিগুণ

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ মার্চ ২০২২ ১১:৫৭

ঢাকা: ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তসংলগ্ন বাংলাদেশের পার্বত্য জেলাগুলোতে ৩১৭ কিলোমিটার ‘সীমান্ত সড়ক’ নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ২০ শতাংশ। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায়, এখন নতুন করে প্রকল্পের মেয়াদ ও খরচ দ্বিগুণ করে প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এক্ষেত্রে মূল ব্যয়ের তুলনায় খরচ বাড়ছে ১২৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। বাস্তবায়নের মেয়াদ বাড়ছে ৩ বছর।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের আওতায় ব্যয় হয়েছে ৩২৫ কোটি টাকা। যা অনুমোদিত ব্যয়ের ১৯ দশমিক ১১ শতাংশ। বাস্তব অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশে।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ১০ জুন অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশ প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে মোট ১ হাজার ৬৯৯ কোটি ৮৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুনে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি নেওয়া হয়, যা ২০১৮ সালের ২০ মার্চ একনেকে অনুমোদিত হয়। বর্তমান প্রকল্পে কিছু নতুন অঙ্গের অন্তর্ভুক্তি, অনুমোদিত সেতুর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি, সড়ক এলাইনমেন্ট পরিবর্তনসহ সংশ্লিষ্ট অঙ্গের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মোট ৩ হাজার ৮৭২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রথম সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। পুনর্গঠিত আরডিপিপি অনুযায়ী, প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৩ হাজার ৮৬০ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা; রাঙামাটির জুরাইছড়ি, বড়কল ও রাজস্থলি উপজেলা; কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা এবং খাগড়াছড়ির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৩১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদ সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় নিরাপদ ও উন্নত সড়ক যোগাযোগ স্থাপন ছাড়াও সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।

সারাবাংলা/জেজে/এএম

সীমান্ত সড়ক