Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রেকর্ড ভোগপণ্য আমদানির পরও রমজানের বাজার নিয়ে ‘সংশয়’

রমেন দাশ গুপ্ত, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৬ মার্চ ২০২২ ২২:০৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: রমজানের অত্যাবশ্যকীয় হিসেবে বিবেচিত বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এবার রেকর্ড পরিমাণ আমদানির তথ্য পাওয়া গেছে। চলতি অর্থবছরের গত আট মাসে যে পরিমাণ ছোলা আমদানি হয়েছে তা এর আগের অর্থবছরের প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া চলতি বছরের দুই মাসে এসব পণ্য গতবছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি এসেছে। পণ্যবাহী আরও জাহাজ খালাসের জন্য অপেক্ষমাণ আছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানিকারকদের হাত থেকে এসব পণ্য নির্বিঘ্নে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পৌঁছলে রমজানে নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না। ফলে দামও ভোক্তাদের জন্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। তবে বাজারে সরবরাহ ঠিক থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাসাধারণের মধ্যে।

বিজ্ঞাপন

রমজানে সবচেয়ে বেশি চাহিদা তৈরি হয় ছোলা, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ এবং মশুর ডালের। এছাড়া মটর ডাল, খেজুরসহ আরও কয়েকটি পণ্যেরও চাহিদা থাকে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে যেসব পণ্য আমদানি হয়েছে, সেগুলো এখনো বাজারে পৌঁছেনি। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে রমজান শুরু। সাধারণত রমজান শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই বাজারে এসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে। যেসব পণ্য গত দুই মাসে আমদানি হয়েছে সেগুলো বাজারে পৌঁছাবে রমজানের আগের সপ্তাহেই।

কাস্টমস ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের তথ্যানুযায়ী, রমজানে দেশে ৭০ থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন ছোলার চাহিদা থাকে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে এর চেয়ে অন্তত ৫০ হাজার মেট্রিক টন বেশি ছোলা দেশে আমদানি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এসব ছোলা এসেছে। এছাড়া টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়েও মিয়ানমার থেকে ছোলা এসেছে।

বিজ্ঞাপন

কাস্টমস কর্মকর্তাদের সূত্র জানিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ছোলা আমদানি হয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৯১২ মেট্রিক টন। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গত ৮ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ছোলা আমদানি হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ৩৬৪ মেট্রিক টন। এর মধ্যে শুধু গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি দুই মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এক লাখ ৩০ হাজার ৮৮৭ মেট্রিক টন ছোলা এসেছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে এসেছে আরও ২৮ হাজার মেট্রিক টন ছোলা। ২০২১ সালের একই সময়ে দেশে ছোলা আমদানি হয়েছিল এক লাখ ৩৩ হাজার ১১৮ মেট্রিক টন।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ছোলা, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন কৃষিজাত পণ্য আমদানির জন্য অনুমতি নিতে হয় বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র থেকে। সামুদ্রিক বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ছোলা নিয়ে কোনো সংকট নেই। সারাবছরই ছোলা এসেছে বিভিন্ন দেশ থেকে। রমজান উপলক্ষে গত দুই মাসে এক লাখ টনের ওপরে এসেছে। মার্চেও আসছে।’

রমজানে দেশে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে বলে জানিয়েছেন দেশে ভোগপণ্যের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে দেশে সয়াবিন ও পাম অয়েল মিলিয়ে ভোজ্যতেলের মোট বার্ষিক চাহিদা ২০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় দুই লাখ টন। বাকি চাহিদা আমদানির মাধ্যমে জোগান দিতে হয়।

সূত্র মতে, ২০২১ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা ১৮ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত ও অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের শুল্কায়ন হয়েছে। এর মধ্যে ১২ লাখ ১৬ হাজার টন পরিশোধিত পাম অয়েল। অপরিশোধিত (ক্রুড) সয়াবিন ৬ লাখ ৩ হাজার টন। ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছিল ১৮ লাখ ২১ হাজার টন পরিশোধিত ও অপরিশোধিত ভোজ্যতেল।

চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সয়াবিন তেল এসেছে তিন লাখ ১১ হাজার ২৭৩ মেট্রিক টন। অপরিশোধিত তেল এসেছে এক লাখ ৬৯ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন এবং পাম অয়েল এসেছে দুই লাখ ১৯ হাজার ৪৪৬ মেট্রিক টন। ২০২১ সালে একই সময়ে দুই লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন সয়াবিন তেল, এক লাখ ২১ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল এবং এক লাখ ৯৯ হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন পামঅয়েল আমদানি হয়েছিল।

চলতি বছরে পরিশোধিত-অপরিশোধিত প্রায় সাত লাখ মেট্রিক টন তেল আমদানি হলেও সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ সংকট তৈরি হয়। ফলে পরিশোধিত সয়াবিন তেলের খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে সরকারিভাবে বাড়তি দাম নির্ধারণ করা হয়। এই সংকটের মধ্যেই দেশের শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি শিল্পগ্রুপ সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, টিকে গ্রুপ ও সেনা এডিবল অয়েল লিমিটেড আমদানি করেছে ৭৫ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্যতেল।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, প্রায় ৩২ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন নিয়ে দু’টি জাহাজ বন্দরের জলসীমায় এসেছে। শনিবার (১৯ মার্চ) আরও ৪৩ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন নিয়ে আরেকটি জাহাজ বন্দরে এসে পৌঁছাবে।

ভোজ্যতেলের মজুত ও সরবরাহ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চলতি সপ্তাহে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের একটি দল চট্টগ্রামে এস আলম অয়েল মিল ও টি কে গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানায় অভিযান চালায়। এস আলমের কারখানায় ভোজ্যতেলের বোতল বিক্রি বন্ধ দেখতে পান তারা।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভোক্তা অধিকারের অভিযানে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়েছে, আমদানিকারকরা তাদের কারখানা থেকে যদি সরবরাহ ঠিক রাখে তাহলে খুচরা ও পাইকারিতে সংকট হয় না এবং দামও ঠিক থাকে। যে পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে তাতে যুদ্ধ পরিস্থিতি কিংবা রমজান- কখনোই বাজারে সংকট তৈরি হওয়ার কথা নয়। যদি সংকট হয়, তাহলে বুঝতে হবে আমদানিকারকরা সঠিকভাবে সরবরাহ করছেন না।’

আড়তদার ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের তথ্যানুযায়ী, রমজানে দেশে প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা তৈরি হয়। বছরে চিনির চাহিদা প্রায় ১৮ লাখ মেট্রিক টন যার বড় অংশই আমদানির মাধ্যমে জোগান দিতে হয়। দেশে চিনির চাহিদা মেটাতে বর্তমানে ব্রাজিল, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া থেকে অপরিশোধিত চিনি আমদানি করেন বেসরকারি আমদানিকারকরা। তারপর সেটা পরিশোধন করে পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই চিনির বাজারে সংকট ছিল, দামও বেড়েছিল। তবে গত ডিসেম্বর থেকে পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ২২১ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আরও ৯০ হাজার টন অপরিশোধিত চিনিবাহী দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় এসে পৌঁছে। সেগুলো থেকে খালাস চলছে। ২০২১ সালে একই সময়ে চিনি আমদানি হয়েছিল ২ লাখ ২৮ হাজার ১০৫ মেট্রিক টন।

পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের চিনি ব্যবসায়ী এ এম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মাহমুদুল আলম লিটন সারাবাংলাকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত চিনি আমদানি হয়েছে। রোজায় তিন লাখ টন কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি চাহিদা থাকে। এর চেয়ে অনেক বেশি চিনি দেশে আছে। সংকট আশা করি হবে না। দামও সরকারি রেটের চেয়ে কম আছে। তবে রোজায় বিক্রির জন্য রাখা চিনিকে যদি মজুত ধরে নিয়ে প্রশাসন অভিযান চালায়, সেক্ষেত্রে সংকট হবে। ব্যবসায়ীরা হতাশ হবেন। বাজারে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।’

সূত্র মতে, রমজানের আরেক অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পেঁয়াজ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে ২০২০-২১ সালে পেঁয়াজের চাহিদা ছিল ৩৫ লাখ টন। চলতি ২০২১-২২ সালের জন্য চাহিদা নিরূপণ করা হয় ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টন। এর মধ্যে রমজান মাসে পেঁয়াজের চাহিদা থাকে তিন লাখ টনের ওপরে। দেশে এখন সাড়ে ৩৩ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে।

চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৮৩ হাজার ২১১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। ২০২১ সালে একই সময়ে এসেছিল ৩৮ হাজার ৫৮৪ মেট্রিক টন।

দেশীয় ফলন ভালো হওয়ায় এবং স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি স্বাভাবিক হওয়ায় আমদানিকারকরা এখন জাহাজে করে পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সামুদ্রিক বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে দেশে মসুর ডালের চাহিদা বছরে প্রায় পাঁচ লাখ মেট্রিক টন। এর অর্ধেক স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। শুধু রমজানে মসুরের চাহিদা থাকে প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন। সূত্র মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এক লাখ ৩১ হাজার ৯৯৪ মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানি হয়েছে। ২০২১ সালে একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ৮১ হাজার ৮২৫ মেট্রিক টন।

খেজুর আমদানি হয় ইরান, তিউনিসিয়া, দুবাই ও সৌদি আরব থেকে। চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে খেজুর আমদানি হয়েছে ৬০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি। রমজানে ৩৫ হাজার টনের মতো চাহিদা তৈরি হয়, যা বিদ্যমান সরবরাহ দিয়েই সামাল দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সামুদ্রিক বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘খেজুর প্রতিমাসেই আসে। রমজান উপলক্ষেও এসেছে।’

তবে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে মটর আমদানি কম হয়েছে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মটর ডাল আমদানি হয়েছে ৯৪ হাজার ৭৮৮ মেট্রিক টন। ২০২১ সালে একই সময়ে আমদানি হয়েছিল আরও তিন হাজার ৭৯০ মেট্রিক টন বেশি। মোট আমদানি হয় ৯৮ হাজার ৫৮৭ মেট্রিক টন। তবে ৪৭ হাজার টন মটর ডালের একটি চালান এখন খালাসের পর্যায়ে আছে বলে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভোজ্যতেল, ছোলা, মশুর ডাল, মটর ডালসহ বিভিন্ন পণ্য যেগুলো রোজার সময় বেশি দরকারি, সেগুলোর কয়েকটি চালান চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে সেগুলো যাতে দ্রুততার সঙ্গে খালাস করা যায়, সেজন্য আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি।’

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমদানির যেসব তথ্য আমাদের কাছে আছে, রমজানে সংকটের কোনো অবকাশ নেই। সরবরাহ পরিস্থিতিও ভালো দেখছি। সরবরাহ যদি স্বাভাবিক থাকে, পর্যাপ্ত থাকে তাহলে সংকট হবে না। প্রশাসনকে বলব সরবরাহ পরিস্থিতিটা একটু নজরে রাখতে।’

এদিকে, বাজারে রমজানের অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ ও দাম যাচাই করতে বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে নগরীর চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ পাইকারী বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সংস্থার চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক দিদার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ ৩১ থেকে ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোলা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখেছি। তবে আমরা বেশি ‍গুরুত্ব দিচ্ছি ভোজ্যতেলে। এটার সরবরাহ যাতে ঠিক থাকে এবং দামে যাতে কোনো কারসাজি না হয় সেই বিষয়টি আমরা নজরদারি করছি।’

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন সারাবাংলাকে বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলো খুচরা দোকানে গিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। খুচরা কিংবা পাইকারি কোনোটাতেই অভিযান চালিয়ে সুফল মিলবে না। মনিটরিং করতে হবে আমদানিকারকদের। তারা যদি আমদানি করা পণ্য বাজারে না দিয়ে মজুত করে রাখে তাহলে বাজার তো উত্তপ্ত হবেই। মূল সংকটটা তাদের কাছে। তাদের ঠিক করতে হবে।’

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

আমদানি নিত্যপণ্য ভোগ্যপণ্য রমজান রমজানের বাজার সংশয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর