বসুন্ধরা পেপারে বেতন ও লেনদেন হবে বিকাশে

আরও সহজে এবং স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তার সঙ্গে কর্মীদের বেতন-ভাতা বিতরণ ও পরিবেশকদের (ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর) সঙ্গে লেনদেন করতে এখন থেকে বিকাশের বিজনেস সল্যুশন ব্যবহার করবে দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়ী শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের দুইটি প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলস লি. ও বসুন্ধরা মাল্টি পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ লি.।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) এ লক্ষ্যে রাজধানীর একটি হোটেলে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি সই হয়। এর আওতায় বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের এই দুইটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন ও দৈনিক ভাতা, রিটেইল কমিশন বিতরণে ‘বিকাশ ডিজবার্সমেন্ট সল্যুশন’ ব্যবহার করবে।

বিকাশ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশজুড়ে এক হাজারের বেশি ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করবে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান দুইটি। একইভাবে প্রায় পাঁচ লাখ খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকেও বিকাশে টাকা সংগ্রহ ও প্রদান করার সেবা পাবে বসুন্ধরা। ফলে ছুটির দিনসহ যেকোনো দিন যেকোনো সময় লেনদেন সুবিধা থাকায় গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন সেবা তৈরি হবে।

বসুন্ধরা গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান ও বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীরসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিকাশ বলছে, সময় ও ব্যবস্থাপনা খরচ সাশ্রয়ী হওয়ায় এবং স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ায় বিকাশ পে-রোল সল্যুশন ব্যবহার করে কর্মীদের সরাসরি বেতন-ভাতা দেওয়া জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিকাশে বেতন দেওয়ার সেবা গ্রহণ করায় একদিকে কর্মীরা যেমন সহজে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন, অন্যদিকে ক্যাশ টাকার ঝামেলা দূর হওয়ায় সামগ্রিক বেতন ব্যবস্থাপনা আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রায় আট শতাধিক প্রতিষ্ঠান বিকাশের মাধ্যমে তাদের কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে।

অন্যদিকে, সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলাররাও দেশের যেকোনো প্রান্তে বসে সহজে ও নিরাপদে তাদের ব্যবসায়িক লেনদেন করতে পারেন কোন ঝামেলা ছাড়াই।

সারাবাংলা/টিআর

বসুন্ধরা পেপার মিলস বসুন্ধরা মাল্টি পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ বিকাশ বিকাশ পে-রোল সল্যুশন