স্বাধীনতা পুরস্কার থেকে বাদ পড়লেন আমির হামজা
১৮ মার্চ ২০২২ ১৭:১৩
ঢাকা: দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে আমির হামজার নাম। তার নাম বাদ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে সংশোধিত এই তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে সাহিত্য বিভাগে এই পুরস্কারের জন্য আমির হামজার নাম থাকলেও সংশোধিত তালিকায় তার নামটি নেই।
গত ১৫ মার্চ এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তালিকায় এ বছর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে এই পুরস্কারে মনোনীত করা হয়। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে পুরস্কারের জন্য ঘোষণা করা হয় পাঁচ জনের নাম— বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীন কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ ও মরহুম সিরাজুল হক।
এছাড়া চিকিৎসাবিদ্যা ক্যাটাগরিতে অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, স্থাপত্যে সৈয়দ মঈনুল ইসলাম এবং সাহিত্যের জন্য মরহুম মো. আমির হামজার নাম ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রকাশিত সংশোধিত তালিকায় দেখা গেছে, আগের তালিকার ১০টি নাম ঠিক থাকলেও আমির হামজার নাম বাদ পড়েছে। অর্থাৎ এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন তিনি।
তবে এই তালিকা প্রকাশের পর বাকি কাউকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন না উঠলেও আমির হামজাকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়। জানা যায়, ‘বাঘের থাবা’, ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি’ ও ‘একুশের পাঁচালি’ নামে তিনটি বই রয়েছে তার। এর ভিত্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের মতো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদকে ভূষিত করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে।
গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় থাকা আমির হামজার বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরিশাট গ্রামে। স্থানীয়ভাবে তিনি পালাগানের শিল্পী ও কবি হিসেবে পরিচিত। তবে স্বাধীনতার পরপর একটি হত্যাকাণ্ডের মামলায় তিনি সাজা পেয়েছিলেন। আরও একটি মামলারও আসামি ছিলেন তিনি। আমির হামজা আট বছর কারাদণ্ড ভোগের পর নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বিএনপি সরকার গঠন করলে ‘রাজনৈতিক বিবেচনা’য় তিনি সাধারণ ক্ষমা পান বলে জানা গেছে।
সারাবাংলা/টিআর