অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ঝুঁকিতে সরকারি স্থাপনা, নীরব প্রশাসন
১৮ মার্চ ২০২২ ১৭:৫৯
ঠাকুরগাঁও: জেলা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে টাঙন ও সেনুয়া নদী। শহরের পরিবেশ রক্ষা ও সৌন্দর্য বর্ধনে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে এই নদীগুলোর। তবে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে নদী দুটি থেকে বালু উত্তোলন করছে। ফলে নদীর আশপাশে থাকা নানা সরকারি ভবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। প্রশাসন সব জেনেও না জানার ভান করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা শহর থেকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শহর যেতে টাঙ্গন নদীর ওপরে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে দু’টি ব্রিজ। ব্রিজের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, মডেল মসজিদ, জেলা রেজিস্টারের কার্যালয় ও রেজিস্ট্রি অফিসসহ নানা স্থাপনা। কিন্তু দিন-দুপুরে জনসন্মুখে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে এই নদীগুলোর ব্রিজের নিচ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।
স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন কর্মকাণ্ড চলমান থাকলেও প্রশাসন বলছেন তারা এ বিষয়ে অবগত নন। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান প্রশাসন।
স্থানীয়রা জানায়, ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাশে সরকারি অফিসগুলোর পাশাপাশি কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রিজ হুমকির মুখে পড়েছে। লিজ নিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমন ভুয়া তথ্য দিয়ে দিনের পর দিন একটি প্রভাবশালী চক্র বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে।
তারা আরও জানান, এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করা হলে দেখে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় ওই মহলটি। গায়ের জোরে এমন কর্মকাণ্ড যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে। বরং ইজারা না নিয়েই চলছে এই হরিলুট। এতে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। অপরদিকে হুমকির মধ্যে পড়েছে সরকারি স্থাপনাগুলো।
এ বিষয়ে পানি উন্নায়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ‘অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর বাইরে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি পাউবো’র এই নির্বাহী প্রকৌশলী।
সারাবাংলা/এনএস