কুবিতে বিদ্যুৎ-পানির সংকট, মগ-বালতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
১৮ মার্চ ২০২২ ২১:৩৪
কুবি: বিদ্যুৎ-পানি সংকটের সমাধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এক ইঞ্জিনিয়ারকে সবার সামনে মাফ চাওয়াসহ আরও ৬টি দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫টায় তারা উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা সড়কের দু’পাশের গাড়ি আটকে তাদের বালতি, বোতল ইত্যাদি তৈজসপত্র বাজিয়ে ‘নবাববাড়ি অন্ধকার ভিসির বাড়িতে লাইট জ্বলে’, ‘নবাববাড়ি কেন রাজপথে, জবাব চাই, জবাব চাই’, ‘প্রশাসন ধিক্কার, ধিক্কার’- এসব স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- পানি ও বাসস্থান সমস্যা, ওয়াইফাই স্প্রিডের গতি বাড়ানো, হলে ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা, খাবারের মান বাড়ানো, খাবারে ভর্তুকি এবং বর্তমানের বিদ্যুৎহীন পরিস্থিতি দ্রুত ঠিক করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেনকে সবার সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে।
আন্দোলনে যোগ দেওয়া কনক ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, দাবি আদায় না পর্যন্ত আমরা মাঠ ছাড়ছি না। উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু আমাদের সমস্যার কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধান দিতে পারেনি। তাই আন্দোলন চলছে, চলবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ার দফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেনকে এসে সবার সামনে মাফ চাইতে হবে। ওনাকে আমরা আমাদের সমস্যার কথা জানালে উনি সমাধানের চেষ্টা না করে উল্টো আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এর আগেও আমরা তার দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের হলে বিদ্যুৎ থাকবে না এটা ভাবা যায় না। এটা খুবই বাজে পরিস্থিতি। আমার বাংলোতেও বিদ্যুৎ ছিল না, আইপিএসে শুধু লাইট জলে। আমি নিজেও শাওয়ার নিতে পারিনি। আর অফিসিয়াল বিভিন্ন কাজও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আমি চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছি, এটা দ্রুত সমাধানে কাজ করছে তারা। আর আমরা বিদ্যুতের আরেকটা লাইন তৈরির কাজ করতে পারি কিনা তা নিয়েও দেখব।’
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ রাত থেকে মেয়েদের নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল, ছেলেদের বঙ্গবন্ধু হলের পুরাতন অংশ, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল, উপাচার্যের বাসভবন, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ডরমিটরিসহ প্রায় সকল ভবনেই বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়। একই কারণে সৃষ্টি হয়েছে পানির সংকট, পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে ওয়াইফাই সংযোগ। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/এনএস