Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশব্যাপী নানা আয়োজনে বর্ষবরণ


১৪ এপ্রিল ২০১৮ ২১:১৭

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে আহ্বান জানানোর মাধ্যমে সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। শনিবার ‘বাংলা নববর্ষ-১৪২৫’ কে বরণ করে নিতে ঢাকাসহ দেশব্যাপী ছিল নানা আয়োজন। বাঙালি চেতনার ধারক মঙ্গল শোভাযাত্রা, গান, নাচ, বৈশাখী মেলা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মানুষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।

নববর্ষ বরণ উপলক্ষে সারা দেশজুড়ে ছিল সাজ সাজ রব। সারা বাংলা ভেসেছে বিপুল উচ্ছ্বাস আর উদ্দীপনায়। সাধারণ মানুষের পোশাকে ছিল লাল-সাদার সমাহার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বেজেছে ঢোল, ডুগডুগি। পথে পথে বসেছিল বাতাসা, মুড়ি-মুড়কি, মাটির জিনিস, পাটের জিনিস, বাঁশি ও খেলনার দোকান। দিনভর প্রখর রোদ থাকা স্বত্বেও ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানের তালে তালে মানুষ বিভিন্ন উৎসবে যোগ দেয়। পান্তাভাত, নানা পদের ভর্তাসহ দেশীয় বিভিন্ন খাবারের পসরা দেখা যায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে।

দেশের নানা প্রান্ত থেকে জেলা প্রতিনিধিরা পাঠিয়েছেন নিজ নিজ জেলার নববর্ষ উদযাপনের চিত্র। সারাবাংলার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল এমনই কিছু বর্ষবরণের খণ্ডচিত্র।

নওগাঁ: নওগাঁয় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বর্ষবরণ ১৪২৫। শনিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় নওগাঁ জেলা স্কুল থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফেস্টুন উড়িয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। পরে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি ও পালকী নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন কালেকটরেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে এই আয়োজনের উদ্ধোধন করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক। শোভাযাত্রায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, পৌরসভার মেয়র আলহাজ নাজমুল হক সনি, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. রওশন আরা খানম, সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুল হক ছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী।

পরে বিকেলে পুরাতন কালেকটরেট চত্বরে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়েছে। নববর্ষকে স্বাগত জানাতে শনিবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো শোভাযাত্রা বের করে।

বেলা বাড়তেই লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে ক্যাম্পাস। বিশেষ করে চারুকলা বিভাগের মেলা চত্বর, টুকিটাকি, শহীদুল্লাহ কলাভবন চত্বর, রবীন্দ্র ভবনের সামনে বিভিন্ন বিভাগের আয়োজনে ছিল মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান।

তবে প্রতিবারের মতো এবারও আয়োজনের মূল উৎসব ছিলো চারুকলা অনুষদে। লালন ফকিরের বিখ্যাত গানের কথা অনুযায়ী ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ স্লোগানকে সামনে রেখে সকাল ১০ টায় চারুকলা থেকে রাজশাহীর সবচেয়ে বড় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এই শোভাযাত্রার মূল আকর্ষণ ছিল এবারের আয়োজনের প্রধান মোটিফ ‘বিদ্রোহের প্রতীক’ (ষাঁড়) এবং ‘শান্তির প্রতীক’ (পায়রা)। আর অশুভ শক্তি দূর কারার প্রত্যয়ে শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণকারীরা বহন করছিল বড় বড় পাশা, মুকুটসহ ২০০টি ব্যতিক্রমধর্মী মুখোশ।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, রেজিস্টার এম এ বারী, প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বগুড়া : অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বগুড়ায় বাংলা নববর্ষ বরণ উৎসব হয়েছে বর্ণিল আয়োজনে। নববর্ষ উপলক্ষে সর্বত্র বিরাজ করেছে উৎসবমুখর পরিবেশ। সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে শহরের পৌর পার্ক ও সাতমাথা এলাকায়। বর্ষবরণে জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করেছে।

বর্ষবরণ উপলক্ষে সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বগুড়া থিয়েটার, বগুড়া আর্ট কলেজ, দিন বদলের মঞ্চসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে।

এ ছাড়াও বগুড়া থিয়েটারের আয়োজনে শহরের পৌর পার্কে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। এই মেলায় পহেলা বৈশাখের দিন সকাল থেকেই গান, নাচ, পান্তা উৎসব, পালাগান, পুতুল নাচ, লাঠিখেলাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে।

শরীয়তপুর: অরুণ আলোর সোনার কাঠি ছুঁইয়ে বাঙালির পরাণ বীণায় জাগরণী সুরের মূর্ছনা নিয়ে এলো পহেলা বৈশাখ। বিগত বছরের দুঃখ, গ্লানি, জরা ঘুচিয়ে নতুন বছরে এক অনাবিল আনন্দের অফুরান উৎস হিসেবে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবার ঘরে ঘরে উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা ১৪২৫ সালকে বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে সাতটায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্তর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহেরের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।

পরে ফিতা কেটে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। এসময় শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালির মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, পাল্কি সহকারে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের বৈশাখী মেলায় এসে শেষ হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় সদর আসনের সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ ইফতেখার হোসেন, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের নেতৃত্বে জেলার স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছেলে মেয়েরা অংশ নেয়।

এ ছাড়া দিনভর বৈশাখী মেলা প্রাঙ্গনে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার পরিবেশন, গ্রাম বাংলার লাঠি খেলা, হাডুডু খেলা, মোরগ লড়াই, হাঁস ধরা ও সাঁতার প্রতিযোগিতাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

পাবনা: পাবনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। সকালে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে।

এ ছাড়াও পাবনা প্রেসক্লাবসহ নানা সংগঠন পান্তাভাত খাওয়ার আয়োজন করে।

অন্যদিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বসন্তের শেষ দিনে চৈত্রসংক্রান্তি পূজা পালন করেছে। এ উপলক্ষে শেষ রাত থেকে জেলার বিভিন্ন মন্দিরে হাজরা দল (সন্যাসীর দল) ঢাকের তালে তালে দেবতাকে তুষ্ট করতে বিভিন্ন সাজে হাজরা খেলায় মেতে ওঠেন। ‘হর হর মহাদেব’ বলে চিৎকার করে তারা নৃত্য করতে থাকে।

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলার চিরায়ত উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়েছে। সকালে নানান স্থানে পান্তাভাত খাওয়া হয়। সকাল ১০টায় বের হয় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। এতে নানান শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশ নেন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের ঠান্ডা পানীয় ও মিষ্টি খাবার বিতরণ করা হয়।

এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ছায়াবিথী মঞ্চে শিশুদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

নোয়াখালী: ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা’ এই স্লোগানের মাধ্যমে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ব্যাপক কর্মসূচির মধ্যেমে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ পালিত হয়। বর্ষবরণ উপলক্ষে সকালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বৈচিত্র্যময় সাজের মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একডেমি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় গরুর গাড়ির মত বাঙালির ঐতিহ্যবাহী নানা জিনিসপত্রসহ জেলা প্রশানের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

মুন্সীগঞ্জ: ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ গান গাইতে গাইতে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে মুন্সীগঞ্জে শুরু হয় বাংলা নববর্ষের আয়োজন। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার সকাল ৮ টায় জেলা কালেক্টরেট চত্বরে শিল্পীদের দলীয় নৃত্য ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণের এই উৎসব শুরু হয়। পরে সেখান থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ ছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ট্রাকে করে শহরের রাস্তায় রাস্তায় কবিতা আবৃতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে।

জামালপুর : জামালপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উদযাপন। জেলার সর্বত্র নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়া হয়। সকালে জামালপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের কাচারি মাঠ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষ করে অফিসার্স ক্লাব মাঠে গিয়ে শেষ হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সংসদ সদস্য আলহাজ রেজাউল করিম হীরা।

বর্ষবরণ উপলক্ষে এদিন জামালপুরের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন তার কার্যালয়ে পান্তা ইলিশ উৎসবের আয়োজন করেন।

হবিগঞ্জ: পহেলা বৈশাখ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়েছে। সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এ উপলক্ষে শহরের শিরিষতলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুরে বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা, সঙ্গীতানুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়।

যশোর: সুরের মূর্চ্ছনা ও ঢাক-ঢোলের তালে নেচে-গেয়ে এ জেলায় বরণ করে নেওয়া হয়েছে বাংলা নববর্ষকে। শহরজুড়ে বসেছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মেলা। শহরের ২০টি স্থানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজন করেছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের।

সকাল ৬টায় উদীচী যশোরের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এসব আয়োজন। খুব সকালে ‘এসো হে বৈশাখ’-এর সুর ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে। সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা।

পঞ্চগড়: পঞ্চগড় জেলায় পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শেরেবাংলা পার্ক ধাক্কামারা গোলচত্বর হয়ে করতোয়া কালেক্টোরেট আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে গিয়ে শেষ হয়।

এ ছাড়া, করতোয়া কালেক্টোরেট আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন পান্তা-ইলিশ ভোজন, লাঠিখেলা, হা-ডু-ডু খেলা, সাপ খেলা, পাখি খেলাসহ বিভিন্ন গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলার আয়োজন করা হয়।

সারাবাংলা/আরএফ

 


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর