সয়াবিন তেলের মূল্য পুনর্নির্ধারণের দাবি
১৯ মার্চ ২০২২ ১৮:১৩
ঢাকা: সরকার আমদানি, উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করলেও বাজারে সয়াবিন তেলের মূল্য কমার কোনো লক্ষণ নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে সয়াবিন তেলের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ। শনিবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ এ দাবি জানিয়েছেন।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সয়াবিন তেলের আমদানি মূল্য আগে ছিল ১১৮ থেকে ১২২টাকা। আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ ভ্যাট বাদ দিলে প্রতি কেজির দাম দাঁড়ায় ১০৬ থেকে ১১২টাকা। সেই সঙ্গে উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসা যা সরাসরি ভোক্তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয়, যার পরিমাণ ৫ শতাংশ। এখানেও প্রায় প্রতি কেজিতে কমার কথা ২০ টাকা। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী সর্বমোট ভ্যাটের পরিমাণ অর্থ বাদ দিলে প্রতি কেজিতে কমার কথা প্রায় ৩০টাকা। কিন্তু বাজারে খোলা তেলের দাম কিছুটা কমলেও বোতলজাত তেলের মূল্য এখনো সেভাবে কমেনি।
তিনি বলেন, ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ৭৯০ টাকায় এখনো বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সরকারের দেওয়া সুবিধা বাদ দিলে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম হওয়ার কথা ছিল ৬৫০ টাকার মতো। এসকল অসৎ ব্যবসায়ী একদিকে রাষ্ট্রের দেওয়া সুবিধা লুটপাট করছে, একইসঙ্গে জনগণের পকেট কাটছে দেদারছে। অথচ দুঃখের বিষয়, আন্তর্জাতিক বাজারে যখন মূল্য বাড়ে তখন সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যমন্ত্রীকে দিয়ে তাদের সুবিধা অনুযায়ী দাম বাড়িয়ে নেয়। কিন্তু প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সরকারি পর্যায়ে ভ্যাট কমানোর প্রজ্ঞাপন বা ঘোষণা হলেও ব্যবসায়ীরা এমনকি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সয়াবিন তেলের মূল্য নির্ধারণ করেছে না।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি, বাণিজ্যমন্ত্রী আগামীকাল ব্যবসায়ীদের ডেকে সয়াবিন তেলের মূল্য নির্ধারণ করে বাজার মনিটরিংয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করে জনগণকে সরকারি সুবিধায় ন্যায্যতার ভিত্তিতে সয়াবিন তেল কেনার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি আটা ময়দা, সাবান, গুড়া সাবান, গুড়া দুধ, মূল্য বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নেমেছে এক প্রকার অসৎ ব্যবসায়ী। সরকারকে অনুরোধ করব বাজারে অসৎ প্রতিযোগিতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে পবিত্র মাহে রমজানের আগে জনগণকে স্বস্তি দিবেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এসএসএ