চট্টগ্রামে টিসিবির পণ্য পাবে সোয়া ৫ লাখ মানুষ
১৯ মার্চ ২০২২ ২০:৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে সোয়া পাঁচ লাখেরও বেশি ফ্যামিলি কার্ডধারী ন্যায্যমূল্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ভোগ্যপণ্য পাবেন। প্রকৃত কার্ডধারীরা ভোগান্তি ছাড়াই পণ্য পাচ্ছেন কি না সেটা নজরদারিতে নামছে জেলা প্রশাসনের মনিটরিং টিম।
সারাদেশের মতো রোববার (২০ মার্চ) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ড, ১৫ উপজেলার ১৯১ ইউনিয়ন এবং ১৫ পৌরসভায় একযোগে টিসিবির ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. তৌহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, চট্টগ্রাম নগরী, উপজেলা ও পৌরসভা মিলে মোট ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮২ জন ফ্যামিলি কার্ডধারী ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন। ৮৪ জন ডিলারের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে টিসিবির আঞ্চলিক খাদ্য সংরক্ষণাগারসহ উপজেলা পর্যায়ে ১৫টি গুদামে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির পণ্য প্যাকেট করা হয়েছে। গুদাম থেকেই সরাসরি পণ্য যাবে স্পটে। প্রত্যেক ইউনিয়ন, পৌরসভা এবং নগরীর প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি করে স্পটে পণ্য বিক্রি হবে।
প্যাকেটে পণ্য নির্ধারিত পরিমাণে আছে কি না এবং প্রকৃত কার্ডধারীদের কাছে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কি না, নগরীতে সেটা মনিটরিং করবেন ছয়জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেটা তদারক করবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, রমজানের প্রথম পর্যায়ে প্রত্যেক কার্ডধারীর কাছে ২ কেজি করে চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল বিক্রি করা হবে। চিনি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৬৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকায় বিক্রি হবে। তিনটি পণ্যের প্যাকেজ হিসেবে একজন কার্ডধারীকে মোট ৪৬০ টাকার পণ্য কিনতে হবে। রমজান শুরুর পর দুই কেজি করে ছোলা বিক্রি করা হবে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানান, আগামী ১০দিন পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি চলবে। কার্ড পাবার পরও যারা পণ্য কিনতে আগ্রহী নন, তাদের জন্য বরাদ্দ পণ্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিক্রি করা হবে।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম