এবার ৬ কোটি টাকা নিয়ে উধাও ‘আকাশনীল’
২১ মার্চ ২০২২ ১৬:৪৬
ঢাকা: এবার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আকাশনীল লিমিটেডের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, গত বছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৩১ জনের কাছ থেকে তারা প্রতারণা করে ছয় কোটি চার লাখ ৫৩ হাজার ৪৫০ টাকা আত্মাসাৎ করেছে।
এ ঘটনায় রুহুল আমিন রোহান (২২) নামে এক ভুক্তভোগী গত ১৭ মার্চ শেরেবাংলা নগর থানায় প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মশিউর রহমানসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ‘র আদালত মামলাটি তদন্ত করে ১৯ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার (২১ মার্চ) সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- আকাশনীলের ডিরেক্টর ইফতেখার উজ-জামান রনি, এজেন্ট রাকিবুল হাসান, সৈয়দ রুমান, ইউনুছ ব্যাপারী, খাদিজা বেগম, ফাতেমা আক্তারী, মৌসুমি আক্তার ও আব্দুল্লাহ আল আমিন প্রান্ত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, অনলাইন বিজ্ঞাপন/এজেন্ট/সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০২১ সালের আগস্টে জানতে পারেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আকাশনীল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের অফিস থেকে নিত্য ব্যবহার্য পণ্য হাতের নাগালের মূল্যে বেচাকেনা করছে। ইন্টারনেটে তারা আকাশনীলের ওয়েবসাইট, ফেইসবুক পেইজ খুঁজে পান। পরে সেখানকার তালিকা পণ্য কেনার জন্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হিসাব নম্বর-১৪০৩২১৪১৯৫০০১-এ বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, অনলাইন ব্যাংকিং এবং অফিস পেমেন্টের মানি রিসিপ্টের মাধ্যমে অগ্রিম টাকা দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, অগ্রিম টাকা জমা দেওয়ার পরও প্রতিষ্ঠানটি থেকে এখন পর্যন্ত পণ্য সরবরাহ করা হয়নি। গ্রাহকরা প্রতিষ্ঠানে অর্ডার করা পণ্য পেতে যোগাযোগ করলে মৌখিকভাবে তাদের প্রতিশ্রুতি দেয় যে, অর্ডার গ্রহণের বিশ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করবে। কিন্তু ছয় মাস অতিবাহিত হলেও প্রতিষ্ঠানটি তা করেনি। পরে তারা অফিসে তালা লাগিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এভাবে তারা ৩১ গ্রাহকের কাছ থেকে ছয় কোটি চার লাখ ৫৩ হাজার ৪৫০ টাকা আত্মাসাৎ করেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর জাকিরুল ফিরোজ সোমবার (২১ মার্চ) সোয়া তিনটার দিকে জানান, গত রোববার মশিউর রহমান ও ইফতেখার উজ-জামান রনিকে র্যাব গ্রেফতার করেছে। তবে এখনো থানায় হস্তান্তর করেনি। থানায় হস্তান্তর করলে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
সারাবাংলা/এআই/পিটিএম