দেশে ফসল কাটতে যন্ত্রের ব্যবহার মাত্র ২ শতাংশ
২১ মার্চ ২০২২ ২২:৪৩
ঢাকা: দেশে মাত্র ২ শতাংশ ফসল কাটতে কৃষিযন্ত্র ব্যবহার হয়, সার প্রয়োগে যন্ত্রের ব্যবহার ৩ শতাংশ, বীজ বপন এবং চারা রোপণে যন্ত্রের ব্যবহার ২ শতাংশ। এমন তথ্যই উঠে এসেছে এক কর্মশালায়।
সোমবার (২১ মার্চ) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ফিডফিউচার আয়োজিত ‘এগ্রিকালচার মেকানাইজেশন ইন বাংলাদেশ- দ্যা ফিউচার’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থতি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম তার এক উপস্থাপনায় কৃষি যন্ত্র ব্যবহারের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ধান, সবজি, গম, সরিষা সহ উৎপাদিত বিভিন্ন ফসলের মাত্র ২ শতাংশ কাটার ক্ষেত্রে কৃষি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ফার্টিলাইজার ব্যবহারে ৩ শতাংশ, ফসলের বীজ বপন ও চারা রোপনের জন্য মাত্র ২ শতাংশ জমিতে যন্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, সরকার ২০১০ সাল থেকে সারাদেশে কৃষির আধুনিকায়নের জন্য চাষাবাদের বিভিন্ন পর্যায়ে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বর্তমানে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নামে ৩ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলছে, এই প্রকল্পের আওতায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিকে কৃষকদের যন্ত্র দিচ্ছে সরকার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘কৃষির কয়েকটি ক্ষেত্রে যন্ত্রের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। মাড়াইয়ে ৭৮ শতাংশ, পেষ্টিসাইডস স্প্রে করায় ৯৫ শতাংশ এবং চাষের জমি প্রস্তুতে ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে কৃষিযন্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। কৃষকের সাধ্যের মধ্যে কৃষিযন্ত্র তৈরির জন্য কাজ চলছে।’ একইসঙ্গে স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রের মেরামতের জন্য ওয়ার্কশ তৈরির কাজও চলছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকার ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। যন্ত্রের দাম বেশি হওয়ায় তারপরও কৃষক তা কিনতে পারছে না। যন্ত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে স্থানীয়ভাবে মেশিনারিজ প্রস্তুত করতে হবে। সেজন্য স্থানীয়ভাবে শিল্প গড়ে তুলতে হবে।’
কর্মশালায় বক্তারা আরও বলেন, দেশে প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজারের মত পাওয়ার টিলার দরকার পরে। কিন্তু দেশে উৎপাদন মাত্র ৩ হাজারের মত। বাকিটা আমদানি করতে হয়। এমন অবস্থায় দেশে কৃষি যন্ত্র উৎপাদনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা উচিৎ।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও