রমনা বটমূলে বোমা হামলা: বিস্ফোরক আইনের মামলায় সাক্ষ্য শেষ
২১ মার্চ ২০২২ ২১:২২
ঢাকা: রাজধানীর রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানির জন্য আগামী ২৭ মার্চ দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
রোববার (২১ মার্চ) বিকেলে মামলার সবশেষ সাক্ষী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এ নিয়ে মামলাটিতে ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করলেন আদালত। পরে আগামী ২৭ মার্চ আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানির তারিখ ঠিক করে দেন বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।
২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল মামলাটিতে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
একই ঘটনায় হত্যা মামলায় একইসংখ্যক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আট জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি সাত আসামি হলেন— মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আবদুল হাই ও মাওলানা শফিকুর রহমান। এর মধ্যে সিলেটে গ্রেনেড হামলার মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড এরই মধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়া মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন ও মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
ওই হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, মাওলানা সাব্বির, শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা ইয়াহিয়া ও মাওলানা আবু তাহের।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই ৯ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। আহত হন বহু মানুষ। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর এ ১৪ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল সিআইডি।
সারাবাংলা/এআই/টিআর