বাবার নামে গড়মিল ২ ভাই কারাগারে
২২ মার্চ ২০২২ ২০:০৮
ঢাকা: ২০১৪ সালের মারধর, শ্লীলতাহানির মামলায় প্রক্সি দিতে এসে বাবার নামে গড়মিল ধরা পড়ায় কারাগারে যেতে হলো রনি ও রুবেল নামের আপন দুই ভাইকে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এদিন চার্জশিটভুক্ত প্রকৃত দুই আসামি রনি ও রুবেলের পরিবর্তে অপর দুই ভাই রনি ও রুবেল আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তাদের কাছে নিজেদের নাম, বাবার নাম জানতে চান। নিজেদের নাম ঠিক বললেও বাবার নামে গড়মিল পান বিচারক। চার্জশিটে ওই দুই আসামির বাবার নাম পাপ্পু দেওয়া থাকলেও তারা বলেন রফিক। এতে বিচারকের সন্দেহ হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জান্নাতুল ইসলাম বলেন, এরাই মামলার প্রকৃত আসামি। চার্জশিটে তাদের বাবার নাম রফিকের পরিবর্তে পাপ্পু আসছে। এদিন বিচারকের কাছে তারা বাবার প্রকৃত নামই বলেন। কিন্তু বিচারক ভেবেছেন তারা প্রক্সি দিতে এসেছেন। এজন্য তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
২০১৪ সালের ১৪ জুন মো. অপু নামে এক ব্যক্তি মারধর শ্লীলতাহানির অভিযোগে পল্লবী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মুরাদ, রনি, আরজু, ইলু, নিলা ও রুবেলকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৪ সালের শবে বরাতের রাতে (১৩ জুন) অপুর বাসার লোকজন পল্লবীর বাসায় নামাজ পড়ছিলেন। এসময় আসামিরা বাদীর বাসার গেইটের ভেতরে পটকা ফুটায়। নামাজে বিঘ্ন ঘটায় বাদীর ভাগ্নে ফয়সাল পটকা ফুটাতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা তাকে গালিগালাজ করেন। আসামিরা বাদীর বাসার ওয়াল টপকে ভিতরে প্রবেশ করেন। তারা বাদীর ভাগ্নে, স্ত্রী ও বোনকে মারধর করেন। বাদীর স্ত্রী ও বোনকে টানাহেঁচড়া করেন। এ সময় ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি সোনার চেন নিয়ে যান আসামিরা।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর ছয় জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার সরকার।
সারাবাংলা/এআই/একেএম