মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন চাচা

ঢাকা: মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নিকে (২৪) হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তার চাচা চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম।

বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। আদালত আগামী ১৭ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ভোলা নাথ দত্ত বলেন, মামলাটিতে তিন্নির চাচা রেজাউল করিম সাক্ষ্য দিয়েছেন। ওই রাতের (মডেল তিন্নিকে হত্যার রাত) ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আজ আরও দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করেছিলাম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি মোজাম্মেল হকের কাছে ইমন নামের এক সাক্ষী বলে গেছেন, কীভাবে তিন্নিকে হত্যা করেছেন অভি। এজন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হককে দরকার। তিনি এসে যেন বলে যান, তার সামনে ইমনের কথা অভি বলছেন। এরপর ইমন এসে যনে আদালতে বলে যান কীভাবে তিন্নিকে হত্যা করেছেন অভি।

এর আগে, গত ৫ জানুযারি তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম সাক্ষ্য দেন আদালতে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন।

২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর এই মামলার তদন্তভার পায় সিআইডি। এরপর একে একে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক। সবশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকই ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংসদ গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

আদালতে সাক্ষ্য তানিয়া মাহবুব তিন্নি মডেল তিন্নি মডেল তিন্নি হত্যা সৈয়দ রেজাউল করিম