Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কয়েক কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা চেতনা সোসাইটির ১০ জন গ্রেফতার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৩ মার্চ ২০২২ ২০:৫৪

ঢাকা: ঢাকার আশুলিয়ায় কোটি কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা চেতনা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪)।

এরা হলেন মো. ইকবাল হোসেন সরকার (৩৫), মো. মাজহারুল ইসলাম (৩৫), মো. মমিন হোসেন (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), মো. ইব্রাহিম খলিল (৩৫), এস এম মকবুল হোসেন (৪০), মিজানুর রহমান (৩৮), মো. আল আমিন হোসেন (২৮), ফজলুল হক (৩৫) এবং মো. নুর হোসেন (২৭)।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার তাদের গ্রেফতারের বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আশুলিয়া এলাকার শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস্ মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায় যে, আশুলিয়ায় জামগড়া এলাকায় অবস্থিত চেতনা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের প্রায় শতাধিক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রায় ৫ শতাধিক গ্রাহক তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত পেতে গত ১৯ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির জামগড়া অফিসের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।’

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, সহস্রাধিক পরিবারের প্রায় শতাধিক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এ চক্রটি।

ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক উচ্চ মুনাফার আশা দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সঞ্চয়ী প্রকল্প, ডিপিএস, এফডিআর, পেনশন পলিসি, হজ পলিসি, প্রজেক্ট, বাগান, ডেইরি ফার্ম ফ্ল্যাট ইত্যাদি দেখিয়ে তাদের কাছে থেকে লাখে প্রতি মাসে টাকার পরিমাণ ও মেয়াদ অনুযায়ী ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রথমে ঠিকঠাক মতো লভ্যাংশ দিলেও এর কিছুদিন পর থেকে লভ্যাংশ তো দিচ্ছেই না বরং মেয়াদ পূর্ণ হলেও আসল টাকা দিতেই নানা তালবাহানা শুরু করে। সর্বশেষ ভুক্তভোগীরা আসল টাকা ফেরত চাইলে শনিবার সকালে টাকা দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের শতাধিক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যায় এই প্রতারক চক্রটি।

বিজ্ঞাপন

এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চেতনা মাল্টিপারপাস সোসাইটি লিমিটেডের ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়—  ২০০৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ৩০ সদস্য বিশিষ্ট গভর্নিং বডির সদস্য বিশিষ্ট ‘চেতনা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ’ প্রতিষ্ঠা করেন, যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর-১৯৩। প্রথমদিকে তারা স্থানীয় বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও স্বল্প আয়ের মানুষজনকে অধিক মুনাফায় সঞ্চয় ও ক্ষুদ্রঋণের প্রতি আকৃষ্ট করত। ধীরে ধীরে এই সংস্থার বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে। একই সঙ্গে তারা চেতনা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর ব্যানারে আরো বড় পরিসরে কাজ করা শুরু করে। এক্ষেত্রে তাদের মূল টার্গেট ছিল আশুলিয়া ও সাভার এলাকার ইন্ডাস্ট্রিজ এলাকার মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত লোকজন। তাদেরকে অতি উচ্চ মুনাফা প্রদানের আশ্বাসে কোম্পানিতে সঞ্চয়ী পলিসি, এফ ডি আর, ডিপিএস, পেনশন পলিসি, শিক্ষা পলিসি, হজ পলিসি, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী পার্টনার পলিসিতে আকৃষ্ট করত। এমন চটকদার ১৮% থেকে ৩০% হারে মুনাফা এবং ফিক্সডিপোজিটের ক্ষেত্রে ৩/৫ বছরের ডাবল লাভ প্রদানের আশ্বাসে প্রায় সহস্রাধিক মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত জীবনের সমস্ত অর্জিত আয় উক্ত সমিতিতে জমা রাখতে উৎসাহিত করত। ভিকটিমদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য, সংস্থাটি গ্রহীতাকে প্রথম দিকে কয়েকমাস চুক্তি অনুযায়ী লভ্যাংশ প্রদান করত। যা দেখে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি বিনিয়োগে আগ্রহী হতো। অনেকে নিজের পেনশনের টাকা, গ্রামের ভিটেবাড়ি বিক্রি করা টাকা, বিদেশ থেকে কষ্ট করে অর্জিত অর্থ উক্ত সংস্থায় উচ্চ মুনাফা লাভের আশায় জমা রাখত।

এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে গত ১৬ মার্চ অফিসে তালা দিয়ে লাপাত্তা হয়।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায় যে, ওই সংস্থার অংশীদারগণ বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে জায়গা-জমি কেনা, বহুতল ভবন নির্মাণ, বিভিন্ন ছোট বড় কারখানা করেছে এবং একইসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে নামে-বেনামে বিভিন্নভাবে অর্থ বিদেশে পাচার করেছে।

কমিটির সভাপতি পলাতক মুহাম্মদউল্লাহ আশুলিয়ার নরসিংহপুরে বসবাস করলেও সে মূলত বরিশালের ভোলায় জন্মগ্রহণ করে। তার বাবা ছিলেন একজন ড্রাইভার। সে ডিগ্রি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। আশুলিয়াতে তার ৫ তলা বাড়ি এবং একাধিক ফ্লাটের সন্ধান পাওয়া গেছে।

গ্রেফতারকৃত মো. ইকবাল হোসেন সরকার মুহাম্মদউল্লাহ এর বন্ধু উক্ত সমিতির সহ-সভাপতি, তার আশুলিয়া জামগড়াতে ৫ তলা বাড়ি এবং সাভার ও আশুলিয়াতে একাধিক ফ্লটের সন্ধান পাওয়া গেছে, মো. মাজহারুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক, তার সাভার আশুলিয়া এলাকায় একাধিক বহুতল বিশিষ্ট বাড়ি ও প্লটের সন্ধান পাওয়া গেছে, মো. মমিন হোসেন যুগ্ন-সম্পাদক, মো. জাহাঙ্গীর আলম কোষাধ্যক্ষ, তাদেরও সাভার আশুলিয়া ও ধামরাই এলাকায় একাধিক বাড়ি এই সমিতির তথাকথিত চেয়ারম্যান এবং বিগত কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম এর আশুলিয়ার ইসলাম নগর এলাকায় একাধিক ভবন এবং প্লটের সন্ধান পাওয়া গেছে।

এতে প্রতীয়মান হয় যে চেতনা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে সংগৃহীত টাকা অবৈধভাবে ট্রান্সফার করে এ সব সম্পদ তারা অর্জন করেছে। তাদের নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ টাকা গচ্ছিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

মো. ইব্রাহিম খলিল হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা, এস এম মকবুল হোসেন বিনিয়োগ কর্মকর্তা, ফজলুল হক সদস্য এবং সকলেই সমিতির প্রতিষ্ঠাকাল ২০০৮ সাল হতে শেয়ার হোল্ডার হিসেবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতারণামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত।

গ্রেফতার মো. আল আমিন হোসেন সমিতির একজন সদস্য এবং এ বছরের শুরুতে ওই সমিতির শেয়ার হোল্ডার হিসেবে জড়িয়ে পড়ে। গ্রেফতার অপর আসামি মো. মিজানুর রহমান ও মো. নুর হোসেন সমিতির বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে এ বছরের শুরুতে যোগদান করে।

এই প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার সঙ্গে বেশ কিছু ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে যা তদন্তের মাধ্যমে তাদের নাম পরিচয় এবং প্রতারণার ভূমিকা বেরিয়ে আসবে। সাভার উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী গত জুন মাসের সর্বশেষ অডিট অনুযায়ী এই সমিতির ফ্যান্ডে মাত্র ৬১ লাখ টাকা জমা রয়েছে।

সদস্য সংগ্রহ: এই প্রতারক চক্রের মাঠ পর্যায়ের কর্মী/সদস্য রয়েছে। এরা ঢাকা জেলার আশুলিয়া, সাভার ও ধামরাই এলাকার মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ যেমন-গার্মেন্টসকর্মী, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, অটোচালক, সবজি ব্যবসায়ী, ফল ব্যবসায়ীসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের টার্গেট করে প্রতি লাখে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা মাসিক লভ্যাংশ এবং স্বল্প সময়ে মাসিক মেয়াদ শেষে অধিক মুনাফা লাভের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করত। ভিকটিমদের প্রলুব্ধ করতে তার বিভিন্ন প্রজেক্ট, গাছের বাগান, ডেইরি ফার্ম, ফ্ল্যাট ও প্লটের প্রলোভন দেখিয়ে ভুলিয়ে নানা কৌশলে প্রতারক চক্রের অফিস কার্যালয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হতো। তারা ভিকটিমদের বুঝাত যে, তাদের কাছে এফডিআর করলে ১ লাখ টাকায় মাসে ১,৮০০/-টাকা লভ্যাংশ প্রদান করা হবে প্রকৃতপক্ষে যা বাংলাদেশে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান দিতে পারে না।

স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা দেওয়ার আশ্বাস: গ্রেফতার আসামিরা ভুক্তভোগীদের বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদান করে ‘চেতনা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ এ বিনিয়োগ/ডিপিএস করতে আগ্রহী করত। এভাবে প্রলুব্ধ হয়ে ভুক্তভোগীরা উক্ত কোম্পানী’তে বিনিয়োগ করত। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য অনুযায়ী ১৮% থেকে ৩০% হারে মুনাফা এবং ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে ৩/৫ বছরের ডাবল লাভ প্রদানের আশ্বাস দিতো।

বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্প প্রচার: সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্প যেমন, বিভিন্ন সঞ্চয়ী প্রকল্প, ডিপিএস, এফডিআর, পেনশন পলিসি, হজ পলিসি, প্রজেক্ট, বাগান, ডেইরি ফার্ম ফ্ল্যাট ইত্যাদি দেখিয়ে তাদের কাছে থেকে গাছের বাগান, ডেইরি ফার্ম, হজে পাঠানো, ফ্ল্যাট ও প্লট ইত্যাদির মাধ্যমে গ্রহককে উচ্চ মূনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল।

ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ: এ কোম্পানির কিছু সদস্য মাসিক/পাক্ষিক ভিত্তিতে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ডিপিএস এর টাকা সংগ্রহ করত। ভুক্তভোগীদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হতো যদি তারা যদি সময়মত ডিপিএস এর টাকা না পরিশোধ করে তাহলে মেয়াদ শেষে তারা মুনাফা কম পাবে এবং নিয়মিত টাকা না দিলে জরিমানাও করা হতো। অধিক মুনাফার লোভে ভুক্তভোগীরা সঠিক সময়ে ডিপিএস এর টাকা জমা করত এমনকি করোনাকালীন সময়েও খেয়ে না খেয়ে কষ্ট করে সমিতিতে নিয়মিত টাকা প্রদান করে আসছে পক্ষান্তরে কোনো লভ্যাংশ পায়নি।

প্রতারণার কৌশল: ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য তারা ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক তাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে মর্মে প্রচারণা চালাত যদিও তাদের কোনো বিধি মোতাবেক ইসলামী শরীয়াহ বোর্ড ছিল না। উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জায়গা সমিতির নামে রেজিস্ট্রেশনের কথা থাকলেও তা মূলত পলাতক সভাপতি মুহাম্মদউল্লাহ, জনৈক তাজুল ইসলাম এবং জনৈক অজ্ঞাত নামে রেজিষস্ট্রেশন করা হয়েছিল।

ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের কোনো অনুমোদন না থাকলেও উক্ত প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত ব্যবসায়ীদের উচ্চসুদে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করত এবং সেগুলো আদায় করত। ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে অনেক সময় ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং মারধর করত। প্রতারক চক্রটি সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই এলাকায় ভিকটিমদের অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে ‘চেতনা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ এ বিনিয়োগ করার জন্য প্রলুব্ধ করত।

ভুক্তভোগীদের প্রলুব্ধ করতে কোম্পানির কিছু সদস্য’কে কমিটির ভুয়া সদস্য সাজিয়ে সাধারণ মানুষদেরকে বুঝাত আমরা কোম্পানিতে বিনিয়োগ/ডিপিএস করেছি এবং স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা পেয়েছি। সাধারণ মানুষ তাদের কথা আশ্বাস করে কোম্পানিতে বিনিয়োগ/ডিপিএস করতে আকৃষ্ট হতো। আর এ সুযোগে কোম্পানির অন্যান্য সদস্যরা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে কোম্পানির ভর্তি ফরম পুরণ করিয়ে তাদের সদস্য বানাত।

ভুক্তভোগীরা নিয়মিত ডিপিএস এর টাকা জমা দিলেও কোম্পানির প্রতিশ্রুতিকৃত মাসিক লভ্যাংশ ও মেয়াদ শেষে মুনাফা প্রদান করত না এমনকি ভুক্তভোগীদের জমাকৃত মূলটাকাও ফেরত দিত না। ভুক্তভোগীরা লাভের টাকা চাইতে গেলে হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করা হতো। তারা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিনিয়োগকৃত টাকা নিজেদের নামে সরিয়ে লেয়ারিং করে কমিটির কর্মকর্তাদের নামে-বেনামে ফ্ল্যাট ও প্লট, বাগান, আবাদি জমি এবং বিভিন্ন ব্যাংকে নগদ টাকা ট্রান্সফার করেছে বলে করেছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়।

‘চেতনা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ কোম্পানীতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চেতনা পরিবার, চেতনা গার্ডেনিয়া ও চেতনা পরিবার কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে আরও তিনটি নাম সর্বস্ব কোম্পানি চালু করে তারা।

সারাবাংলা/ইউজে/একে

চেতনা কো-অপারেটিভ টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২৪ বলে ০ রানে জাকিরের লজ্জার রেকর্ড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮

সম্পর্কিত খবর