Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘রোহিঙ্গা পরিবারটি ফিরেছে নিজ ইচ্ছায়, এটি প্রত্যাবাসন নয়’


১৫ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:৩০

।। ওমর ফারুক হিরু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

কক্সবাজার : মিয়ানমার-বাংলাদেশের তমব্রু সীমান্তের শূন্য রেখা থেকে পাঁচ সদস্যের রোহিঙ্গা পরিবার নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরেছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স। তবে রোহিঙ্গা ওই পরিবারটির দেশে ফেরার বিষয়টি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় পড়ে না বলে দাবি করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আবুল কালাম।

রোববার (১৫ এপ্রিল) কক্সবাজারে অবস্থিত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আবুল কালাম বলেন, ‘গতকাল রাতে (১৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তমব্রু শূন্য রেখায় অবস্থান করা পাঁচ সদস্যের একটি পরিবার মিয়ানমারে ফেরত গেছে বলে প্রচার হয়েছে। ওই শূন্য রেখাটি মিয়ানমারের অংশ বিশেষ। তাই এটি কোনোভাবেই প্রত্যাবাসন পর্যায়ে পড়ে না। তারা তাদের দেশে নিজ ইচ্ছাতেই আসা-যাওয়া করতেই পারে। সুতরাং এটি প্রত্যাবাসন নয়।’

তিনি জানান, ওই শূন্য রেখায় প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন। শূন্য রেখায় থাকা রোহিঙ্গা যদি তাদের দেশে চলে যান বা তাদের সরকার তাদের নিয়ে যায়। এটি খুবই ইতিবাচক। আর এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সহজ হবে।

                                                                              শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আবুল কালাম

এ ব্যাপারে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরওয়ার কামাল বলেন, ‘শূন্য রেখার কোনারপাড়া জায়গাটি হচ্ছে মিয়ানমারের। সুতরাং ওদের সীমান্ত থেকে কেউ ওদের দেশে গেলে ওটাকে চলে যাওয়া বা প্রত্যাবাসন বোঝায় না। কারণ ওই জায়গা তাদেরই। তবে চলে যাওয়া শুরু হলে ভালো হবে। আমরাও চাই রোহিঙ্গারা তাদের দেশে চলে যাক।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল শনিবার তুমব্রু সীমান্তের কোনার পাড়া জিরো পয়েন্ট থেকে আখতার কামাল নামে এক রোহিঙ্গা ব্যক্তি তার পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে গোপনে মিয়ানমারে চলে গেছে। সে দেশে পৌঁছার পরপরই দেশটির কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানিয়েছে।

ওই জিরো পয়েন্টের রোহিঙ্গা মাঝি দিল মোহাম্মদ জানান, আখতার কামাল মিয়ানমারের মংড়– জেলার বলিবাজারের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি গোপনে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাতের আঁধারে নিজ দেশে পাড়ি জমান। ওই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে একজন পুরুষ, দুইজন নারী ও দুই শিশু রয়েছে।

 ওই শূন্য রেখার আরিফ নামে এক রোহিঙ্গা ব্যক্তি জানান, আখতার কামাল দীর্ঘদিন মিয়ানমার সরকারের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতেন। এ অবস্থায় তার দেশে ফেরা এবং সে দেশ তাগে স্বাগত জানানোর বিষয়টি প্রত্যাবাসনের সহজ প্রক্রিয়াকে জটিল করার একটি অংশ।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আর রাখাইনদের নির্যাতনে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন ১১ লাখ রোহিঙ্গা। এরইমধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে। সে অনুযায়ী রাখাইনে অস্থায়ী শিবির গড়ে তোলার কথা বললেও জাতিসংঘ বলছে এখনো রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার মত পরিবেশ তৈরি হয়নি।

সারাবাংলা/একে


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর