Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মুক্তিযুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের কারণে পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ মার্চ ২০২২ ১৫:৪৭

ঢাকাএকাত্তরে যুদ্ধাপরাধের জন্য পাকিস্তানকে সর্বসম্মুখে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

তিনি বলেন, এটি শতভাগ সত্য যে একাত্তরে ম্যাসাকার হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে। আমাদের ৩০ লাখ মানুষ শহিদ হয়েছে, ‍দুই লাখ মা-বোন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এগুলো আর প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। সারাবিশ্বে আমরা অননেক গণহত্যা দেখেছি। সেগুলোর বিচার হয়েছে আন্তর্জাতিক আদালতে। কাজেই আমরা মনে করি, পাকিস্তানের যারা জীবিত আছে বা যারা মরে গেছে, তাদেরও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘একাত্তরের গণহত্যা ও পাকিস্তানের বর্বরতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

একাত্তরের গণহত্যার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শিল্পমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমাদের যে অনুভূতি, আগামী প্রজন্মের কাছে একাত্তরের গণহত্যার প্রেক্ষাপটের গল্পগুলো ঠাকুরমার ঝুলির মতো সবাইকে জানাতে হবে। এটি আমাদের পাঠ্যবইয়ে থাকবে। তেমনি আমরা যারা সম্প্রীতি বাংলাদেশের মতো অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও দেশের সফলতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি, আমার বিশ্বাস— আমরাও এটাকে সামনের দিকে নিয়ে যাব। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য আমরা চেষ্টা করব।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হূমায়ুন আরও বলেন, একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে ভিডিও স্টোরি, সিনেমা, তথ্যচিত্রসহ অনেক কিছু তৈরি করা যেতে পারে। নির্বাচনের সময়ও এগুলো আমরা জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারি এবং আগামী প্রজন্মকেও এ বিষয়ে জানাতে পারি। আমাদের যারা তরুণ ভোটার, তরুণ প্রজন্ম, তাদের কাছে এসব তথ্য পৌঁছে দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

দেশের ব্যাপক উন্নয়নের কারণে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ আলোচিত দাবি করে মন্ত্রী বলেন, কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পাকিস্তান বিকৃত ইতিহাস তৈরি করেছে। তারা একাত্তরে গণহত্যা চালিয়েছে। এই যুদ্ধাপরাধের জন্য পাকিস্তানকে সর্বসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে। কোনো রাখঢাক রাখলে চলবে না। কারণ তারা যে গণহত্যা চালিয়েছে, সেটি আর প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্ববায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শহিদ পরিবারের সদস্য ও সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) তৌফিকুর রহমান ও শহিদ সন্তান নট কিশোর আদিত্য। সভা পরিচালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

সারাবাংলা/এনআর/এসজে/টিআর

একাত্তরে গণহত্যা নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন শিল্পমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর