নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের পর হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেফতার
২৫ মার্চ ২০২২ ১৯:১৪
বগুড়া: ধুনটের মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য রেশমাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার দীর্ঘ সাতমাস পর অভিযুক্ত আসামি মো. আব্দুল লতিফ শেখকে (৬০) মুন্সীগঞ্জ সদর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২ বগুড়া। গ্রেফতারকৃত আসামি একই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আহাদ বকশ শেখের ছেলে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) র্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানির কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সোহরাব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১২ বগুড়া সূত্র জানায়, আসামি লতিফ শেখ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, হত্যা ঘটনার ৭ মাস আগে মহিলা ইউপি সদস্য রেশমা খাতুনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকে লতিফ ইউপি সদস্য রেশমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন সময় আলাপও হয়। কিন্তু রেশমা এতে সায় না দিলে তাকে কৌশলে মথুরাপুর এলাকার একটি ইটভাটার পাশে নিয়ে চেতনানাশক খাইয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ঘটনা ফাঁস হওয়ার ভয়ে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ হত্যা করে লাশ ইটভাটার পাশে ফেলে রেখে বাড়ি চলে যায়।
এদিকে রেশমা বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। লতিফ নিজেকে সন্দেহের ঊর্দ্ধে রাখতে কৌশলে মৃতদেহটি উদ্ধার কাজে স্থানীয়দের সহায়তা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের দাফন কাজেও অংশ নেয় এবং ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে। একপর্যায়ে রেশমার ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হতে পারে এই আশংকা থেকে সে তার নিজ এলাকা ত্যাগ করে। প্রথমে ছদ্মবেশী শ্রমিক হিসেবে নোয়াখালীতে কিছুদিন কাজ করে। পরে মুন্সীগঞ্জে আত্মগোপন করে।
বিষয়টি র্যাব-১২ এর নজরে এলে তারা তদন্ত শুরু করে জানতে পারে আব্দুল লতিফ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা। লতিফ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের এ ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। ফার্নিচার ব্যবসায়ী লতিফ এর আগেও একটি ধর্ষণ মামলায় ৭ মাস জেল খেটেছিল।
সারাবাংলা/এমও