করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ৬৫ জন
২৬ মার্চ ২০২২ ১৭:২২
ঢাকা: আগের দিনের মতোই গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে করোনাভাইরাসের নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৬৫ জনের শরীরে, যা আগের দিন ছিল ১০২ জন। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় নতুন সংক্রমণ কমেছে।
এদিকে নতুন সংক্রমণের পাশাপাশি কমছে শনাক্তের হারও। আগের দিন এই হার ছিল ১ দশমিক ০৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই হার কমে হয়েছে দশমিক ৮৯ শতাংশ।
শনিবার (২৬ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপপরিচালক ও কোভিড ইউনিটের প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খানের সই করা কোভিড-১৯ বিষয়ক নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ৮৭৯ ল্যাবের মাধ্যমে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৮৭৯টি ল্যাবের মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৬০টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫৭টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব ৬৬২টি।
এদিন সারাদেশ থেকে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৭ হাজার ২৩৪টি। পুরনো নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৭ হাজার ৩৩৬টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত অ্যান্টিজেনসহ দেশে নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১ কোটি ৩৭ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮৩টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯১ লাখ ৪৮ হাজার ৫টি, বেসরকারি পর্যায়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬ লাখ ৩১ হাজার ৯৭৮টি।
নতুন সংক্রমণ ও শনাক্তের হার কমেছে
আগের দিন দেশে ১০২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা কমে হয়েছে ৬৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের মোট সংক্রমণ শনাক্ত হলো ১৯ লাখ ৫১ হাজার ২৩৯ জনের শরীরে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার দশমিক ৮৯ শতাংশ, যা আগের দিন ছিল ১ দশমিক ০৩ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৬ শতাংশ।
সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা কমেছে
আগের দিন দেশে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ১ হাজার ২৬৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯৮৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মোট সুস্থ হলেন ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৩১ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২০ শতাংশ।
আজও মৃত্যুশূন্য দিন
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। আগের দিনও কেউ মারা যাননি করোনা সংক্রমণ নিয়ে। ফলে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মোট মৃত্যু তিন দিন আগের মতোই ২৯ হাজার ১১৮ জনে স্থির রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২ হাজার ৭৯৪ জন (মোট মৃত্যুর ৪৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ) মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে। আর সবচেয়ে কম ৮৮০ জন (মোট মৃত্যুর ৩ দশমিক ০২ শতাংশ) মারা গেছেন ময়মনসিংহ বিভাগে।
করোনায় মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ১৮ হাজার ৫৯১ জনই পুরুষ। বাকি ৩৬ দশমিক ১৫ শতাংশ বা ১০ হাজার ৫২৭ জন নারী। বয়স বিবেচনায় সর্বোচ্চ ৯ হাজার ২ জন মারা গেছেন ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী, যা মোট মৃত্যুর ৩০ দশমিক ৯২ শতাংশ। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৭৮৩ জনের (২৩ দশমিক ২৯ শতাংশ) বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ১০৩ জনের (১৭ দমমিক ৫৩ শতাংশ) বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছর। সব মিলিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর মধ্যে ২০ হাজার ৮৮৮ জন বা ৭১ দশমিক ৭৩ শতাংশই ৫১ থেকে ৮০ বছর বয়সী।
সারাবাংলা/পিটিএম