মিঠামইনে প্রাথমিক শিক্ষিকার করা জিডি তদন্তের নির্দেশ
২৬ মার্চ ২০২২ ১৮:০১
ঢাকা: কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার গোপদিঘী ইউনিয়নের নতুন বগাদিয়া গ্রামের মো. নূরুল হক ভূঞার স্ত্রী মোছা. মাহমুদা আক্তার মনির (৪৪) বিরুদ্ধে ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছাম্মদ মদিনা খাতুনের (৪১) করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) কিশোরগঞ্জ জেলা জুডিশিয়াল আদালত-৪ এর বিচারক রাশেদুল আমিন এ আদেশ দেন।
গত ৫ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মো. নূরুল হুদা ১৯ ফেব্রুয়ারি দায়ের করা ৬৫৩ নং জিডি তদন্তের অনুমতির জন্য আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ বিচারক জিডি তদন্তের নির্দেশ দেন
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, বিবাদী মোছা. মাহমুদা আক্তার মনি (৪৪) অত্যন্ত খারাপ এবং ঝগড়াটে প্রকৃতির লোক। তার বাড়ি বিদ্যালয়ের পাশে। তিনি বিভিন্ন সময় কারণে-অকারণে বিদ্যালয়ের ভেতর প্রবেশ করে ছাত্রছাত্রীদের সামনে বাদী মোছাম্মদ মদিনা খাতুনসহ প্রধান শিক্ষক ও সহকর্মী শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে কটূক্তি ও উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে থাকেন। সেজন্য মোছা. মাহমুদা আক্তার মনিকে প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক মোছাম্মদ মদিনা খাতুন প্রয়োজন ছাড়া পাঠদানের সময় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে আসতে নিষেধ করেন। কিন্তু তাতে তাকে ফেরানো যায়নি বরং রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে চড়াও হন।
জিডিতে আরও উল্লেখ করা হয়, শিক্ষকরা বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিম্নগামিতায় সরকারের নির্দেশিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বপ্লপরিসরে খুলে দেওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই শিফটে বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান চালিয়ে আসছিলেন। গত ১৫ নভেম্বর বরাবরের মতো সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে বহিরাগত ওই নারী বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে ঢুকে বাদিনী মোছাম্মদ মদিনা খাতুনসহ প্রধান শিক্ষক ও সহকর্মী শিক্ষকদের লক্ষ্য করে উচ্চস্বরে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভিন্ন ধরনের অযাচিত কথাবার্তা বলতে থাকেন।
এহেন অবস্থায় মোছা. মাহমুদা আক্তার মনিকে বিদ্যালয়ের আঙিনা ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এতে যেকোনো সময় শিক্ষকদের বিশেষ করে অভিযোগকারী মোছাম্মদ মদিনা খাতুন যেকোনো ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছে জিডিতে।
অভিযোগকারী মোছাম্মদ মদিনা খাতুন বলেন, এই ন্যক্কারজনক ঘটনার পর বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি মো. আলী আজগর ভূঞাকে জানান তিনি। কিন্তু সভাপতি এ ব্যাপারে কোনো প্রকার সহায়তা করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন বলে আদালতে অবহিত করেন বাদিনী।
জিডি করার পর দল ভারি করে বিবাদী মোছা. মাহমুদা আক্তার মনির হুমকি-ধমকি ও উৎপাত আরও বেড়ে গেছে জানিয়ে মোছাম্মদ মদিনা খাতুন বলেন, ‘এ জন্য তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাতে মনে ভয়ানক আতঙ্ক নিয়ে বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।’
সারাবাংলা/একে