ইতিহাসকে কখনও কেউ মুছে ফেলতে পারে না: শেখ হাসিনা
২৬ মার্চ ২০২২ ২২:৪৭
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতিহাসকে কখনও কেউ মুছে ফেলতে পারে না। সত্যের জয় হয়েই। এটা কেউ কখনও বাধা দিয়ে থামিয়ে দিতে পারে না, আজকে সেটাই হয়েছে।
শনিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপণী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রান্তে যুক্ত থেকে ‘জয়বাংলার জয়োৎসব’ শীর্ষক চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির গৌরবগাঁথা বিজয়ের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিজয় হয় বাঙালির। বিজয় হয় মুক্তিযুদ্ধের, স্বাধীনতা যুদ্ধের। ৯৬ হাজার পাকিস্তানি সেনা সদস্যসহ তাদের মানুষগুলি আটকা পড়ে যায়। পাকিস্তানি শাসক ইয়াহিয়ার পতন হয় তখন ভুট্টো ক্ষমতায় আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় আন্তর্জাতিক চাপে।’
জাতির পিতা পাকিস্তান থেকে লন্ডন গিয়ে ভারত হয়ে বাংলাদেশের মাটিতে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি ফিরে আসেন, সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া জাতির পিতার ভাষণের দিকনির্দেশনার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাঙালি জাতির ইতিহাসের সাথে এই জায়গাটা এলাকাটা আমাদের জন্য অত্যন্ত ঐতিহাসিক একটি স্থান। জাতির পিতা শুধু স্বাধীনতাই দেননি যুদ্ধবিধস্ত দেশও গড়ে তুলেছিলেন। এরপর এই ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে নতুন সমাজ গড়ার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে ঔপনিবেশিক শাসনের অচলায়তন ভেঙে নতুন পথের যাত্রা শুরু বাংলাদেশের তৃণমূলের মানুষ যেন ক্ষমতাসীন হয় তার ব্যবস্থা তিনি নিয়েছিলেন। আর তখনই আসল চরম আঘাত ১৫ আগস্ট সংঘটিত হয়।’
২১ বছর পর প্রথম আওয়ামী লীগ সরকারে আসার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাত্র ৫বছর ক্ষমতায় ছিলাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর ২০০১ সালে করেছিলাম। দুভার্গ্যবশত ২০০১ সালে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা সব থামিয়ে দিয়েছিল। আবারও আমরা একটা অন্ধকার যুগে প্রবেশ করি। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সেনা সমর্থিত এক/এগারোর সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে বাংলাদেশের মানুষের জীবনে আরেক অন্ধকার নেমে আসে।’
আমাদের জনগণ কখনো থেমে থাকেনি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদ করেছে। যার ফলে ২০০৮ সালে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। আর সেই নির্বাচনে জনগণের ভোটে আমরা নির্বাচিত হয়ে আসি বলেও অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রান্তে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া।
দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে তা কিছুক্ষণ উপভোগ করেন।
সারাবাংলা/এনআর/এমও