বাস থেকে ফেলে হত্যা, ২৩ বছর পর চালক-হেলপারের যাবজ্জীবন সাজা
২৭ মার্চ ২০২২ ১৯:০২
ঢাকা: ১৯৯৯ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক পথচারীকে জোর করে বাসে তুলে নিয়ে ফেলে হত্যার ঘটনায় বাসের চালক শওকত ওরফে সইক্যা এবং তার সহকারী আক্তার হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (২৭ মার্চ) বিকেলে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জেসমিন আরা এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাস কারাভোগের নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাদের পাটওয়ারী এতথ্য নিশ্চিত করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শওকত মুন্সীগঞ্জ জেলার বাযাইকান্দি গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে। তার হেলপার আক্তার ফরিদপুরের মধুখালী থানার মসলন্দপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৯ সালে ৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদপুর থানাধীন শ্যামলী শিশু মেলার পাশে আগারগাঁও রোডে রিকশা চালক রায়হানের রিকশায় ধাক্কা দেয় একটি মিনিবাস। এতে রিকশাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রিকশা চালকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে চালক ও সহকারী রিকশা চালককে ৫০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চায়। কিন্তু সেখানে উপস্থিত অজ্ঞাত ব্যক্তি এর প্রতিবাদ করে ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। তখন চালক শওকতের নির্দেশে সহকারী আক্তার ওই ব্যক্তিকে শার্টের কলার ধরে জোর করে বাসে তুলে নেয়। এরপর চালক মিনিবাসটি চালাতে শুরু করে। ৫/৬ গজ সামনে যাওয়ার পর চালকের নির্দেশে সহকারী ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়। গুরুতর আহত হয়ে ওই ব্যক্তি মারা যান।
এ ঘটনায় ওই দিনই মোহাম্মদপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর আলী আজম সিদ্দিকী মামলা দায়ের করেন।
২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
সারাবাংলা/এআই/একে