Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাধা পেরিয়ে সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রতিজ্ঞা আ.লীগের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৮ মার্চ ২০২২ ০০:০৪

ঢাকা: ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলা করে, সব বাধার পথ পেরিয়ে আগামী দিনে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাবে। আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না।

রোববার (২৭ মার্চ) বিকেলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন টানা মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় সূচনা বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা উন্নয়নশীল দেশ। এই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আর বাংলাদেশের জনগণ ওদের ভোট দেবে কেন? এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী বা গ্রেনেড হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, অর্থ পাচারকারী সাজাপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছে তাদের দলের নেতা। সেই দলকে মানুষ কেন ভোট দিতে যাবে? মানুষ তো ভোট দেবে না।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘মাটি ও মানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। আমরা যে ওয়াদা করেছি, তা পূরণ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ জয় বাংলা স্লোগান ফিরে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আজ প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের মানুষকে আর কোনো বিকৃত ইতিহাস শুনতে হবে না। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে, আদর্শ নিয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। বাংলাদেশ সম্মান নিয়ে চলবে। উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা পাবে এবং সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাব। এটাই আমাদের আজকের প্রতিজ্ঞা।’

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। বাঙালি আজ বিশ্বজুড়ে চলার সাহস পেয়েছে। শেখ হাসিনা জাতিকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, যতই ষড়যন্ত্র হোক এদেশকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না। পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সকালেও খিলগাঁওয়ে একটা সম্মেলনে গিয়েছিলাম, একটু পরেও জুরাইনে যাব। আমি কর্মীদের মাঝে যে উদ্দীপনা দেখেছি, যে প্রাণশক্তি দেখেছি আমরা যদি নেতারা সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারি; আমরা যদি সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত সংগঠন হিসাবে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে পৃথিবীর কোনো শক্তি নাই ষড়যন্ত্র করে আমাদের ক্ষমতাচ্যুত করবে। জনগণ আমাদের শক্তির উৎস। এই জনগণকে নিয়ে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটা আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব।’

বিএনপিকে ইতিহাস বিকৃতি করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, ‘আগামীকালের ডাকা হরতালের পেছনে বিএনপি-জামায়াত জোটের ইন্ধন রয়েছে। হরতালের নামে যদি কাল রাস্তায় নামে, মানুষের যদি ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয় আর উন্নয়নকে ব্যহত করার ষড়যন্ত্র হয় তাহলে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’

সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘২০৪১সালে উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন আমরা দেখছি। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের একটি গর্বিত জাতি। বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে অত্যন্ত প্রশংসার চোখে দেখে এবং আমাদের প্রিয় নেত্রী বিশ্ব দরবারে একজন নন্দিত নেত্রী হিসাবে স্বীকৃত। আজ বাংলাদেশের সব উন্নয়নকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। একাত্তরের প্রেতাত্মা, পাকিস্তানের প্রেতাত্মাদের বিরুদ্ধে এখনো আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে।’ সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতি অনেকের সহ্য হয় না উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনীতি করে, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করে, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিসভায় বসায়, যুদ্ধাপরাধী যারা এই পতাকা চায়নি, তাদের গাড়িতে এই পতাকা লাগিয়ে দেয়, সেই বিএনপি-জামাতের এই অগ্রগতি পছন্দ হয় না। তাই এই দিনে আমাদের শপথ হবে- স্বাধীনতার সব অপশক্তিকে নস্যাৎ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের ঠিকানায় দেশকে নিয়ে যাওয়া।’

সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যত রকম বাধাই আসুক না কেন সবরকম বাধার জাল পেরিয়ে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করবই। এটাই হোক আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবসের শপথ।’

এদিন গণভবন প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। এছাড়া সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

আওয়ামী লীগ টপ নিউজ বাধা পেরিয়ে শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর