যমুনার চরে চাষ হচ্ছে কালোজিরা
২৮ মার্চ ২০২২ ০৯:১৫ | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২২ ১১:১৫
টাঙ্গাইল: জেলার ভূঞাপুরে যমুনা নদীর বুকে জেগে উঠেছে ছোট বড় বালুর চর। চরগুলো সবুজের বিশাল সমারোহে মেতেছে। চাষ হচ্ছে নানান অর্থকরী ফসল। তার মধ্যে অন্যতম ঔষধি ফসল কালিজিরার চাষাবাদ। ইতোমধ্যেই ভূঞাপুর উপজেলা অংশের কৃষকদের মধ্যে কালোজিরা চাষে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
ঔষধিগুণে ভরা অর্থকরী ফসলটি আগে তেমন দেখা না গেলেও, এ বছর ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে। চাহিদা থাকায় চাষিরা এ ফসলকে তুলনা করেছেন সোনার সঙ্গে।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছর ১৮ হেক্টর জমিতে কালোজিরা চাষ করা হচ্ছে। যা গত বছরগুলোর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।
বর্তমানে চাষ হচ্ছে বারি কালোজিরা-১। এ জাতটির জীবনকাল ১৩৫-১৪৫ দিন। এর উচ্চতা ৫৫-৬০ সেন্টিমিটার। প্রতিটি গাছে প্রায় ৫-৭টি প্রাথমিক শাখা এবং ২০-২৫টি ফল থাকে। প্রতিটি ফলের ভেতরে প্রায় ৭৫-৮০টি বিজ থাকে যার ওজন প্রায় ০.২০-০.২৭ গ্রাম। এ জাতের প্রতিটি গাছে প্রায় ৫-৭ গ্রাম বিজ হয়ে থাকে এবং এক হাজার বিজের ওজন প্রায় ৩.০০-৩.২৫ গ্রাম। হেক্টর প্রতি এর গড় ফলন ০.৮০-১.০ টন হয়ে থাকে। স্থানীয় জাতের তুলনায় এ জাতের কালোজিরা চাষে রোগবালাইয়ের আক্রমণও খুব কম। তাই সহজে চাষাবাদ করা যায়।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। বিঘায় (৩৩ শতাংশ) ৪ থেকে সাড়ে ৪ মণ কালোজিরা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি মণ কালোজিরার বর্তমান বাজার মূল্য ১৬ হাজার টাকা।
ভূঞাপুর অর্জুনা গ্রামের কালোজিরা চাষী আয়নাল মিয়া জানান, এ বছর ৩৩ শতাংশ জমিতে কালোজিরা চাষ করেছেন। ফলন ভাল হয়েছে। প্রায় ৪মণ কালোজিরা পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
জগৎপুরা গ্রামের কামাল হোসেন জানান, জমিতে অন্যান্য ফসলের মধ্যে বন্ধু ফসল হিসেবে কালোজিরা রোপন করেছেন। গাছগুলো বেশ বড় হয়েছে। ইতোমধ্যে ফুল ধরছে। আশা করছেন লাভবান হতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবির জানান, কৃষকদের কম খরচে বেশি লাভের জন্য বিভিন্ন ধরনের মসলা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এ বছর যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকরা ব্যাপকহারে কালোজিরা চাষ করেছে।
তিনি আরও বলেন, আশা করা যাচ্ছে এ বছর প্রতি একরে ১৩ থেকে ১৪ মণ কালোজিরা উৎপাদন হবে। আগামী বছর যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকদের আরও বেশি কালোজিরা চাষে আগ্রহ বাাড়াতে কাজ চলমান রয়েছে।
সারাবাংলা/একেএম