‘গৃহহীনদের ঘর উপহার দেওয়া আমার জীবনের বড় আনন্দ’
৩০ মার্চ ২০২২ ১৫:২৭
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর উপহার দিচ্ছে সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামানের এই স্বপ্ন পুরণ করতে পেরেছি। এই ঘর উপহার দেওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি ঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে ৬৫ হাজার ৪৭৪টি ঘর দেওয়া হবে।
বুধবার (৩০ মার্চ) জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম সম্পূরক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীকে তার আনন্দের স্মৃতি সংসদে বর্ণনা করতে অনুরোধ করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গুচ্ছগ্রাম তৈরির কাজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন, ভূমিহীন ও ঠিকানাবিহীন থাকবে না। এটা জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল।
তিনি বলেন, আমার লক্ষ্য মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়া। ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর থেকে ভূমিহীন মানুষদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছি এবং পুনর্বাসন করে যাচ্ছি। আমরা শুধু ঘর দিয়ে বসে থাকছি না, ঘর দেওয়ার পরে তাদের অর্থ দিচ্ছি, প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আয়ের পথও করে দিচ্ছি। আমার জীবনে ১৫ আগস্টের পরে যে দুঃখ, কষ্ট, যতনা ভোগ করতে হয়েছে, সেই দুঃখের মধ্যে দিয়ে, বোঝা নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম বাবার স্বপ্ন পূরণে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এটা খুব ভালোভাবে মনিটরিং করেন। কার্যালয়ে সচিব ও কর্মকর্তারা প্রায়ই যাচ্ছেন, তারা কেমন আছেন দেখছেন। দেখে আসার পরে আমাকে ছবি পাঠিয়েছে। ঘর পাওয়ার পরে মানুষের যে অনুভূতি, একটা ঠিকানা পেয়েছে, সেই আনন্দে কান্না। একটা মানুষ, একটা পরিবার একটা ঠিকানা পেয়েছে। ঘর পাওয়ার পরে জীবন পাল্টে গেছে। অভাব, দারিদ্র নেই। নিজের জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এটিই আমার জীবনে সবথেকে বড় আনন্দের দিন। একজন মানুষ, যার কিছু ছিল না, তাকে একটা ঘর দিয়ে তার মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। এর থেকে বড় আনন্দের কিছু হতে পারে না। সেদিন আনন্দে চোখের পানি রাখতে পারিনি। আমি অঝোর ধারায় কেঁদেছিলাম। কারণ এটাইতো আমার বাবার স্বপ্ন ছিলো।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। জলে চোখ ভিজে যায়। এখন অনেকের ঘরে ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ নানান আসবাব পত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা মানুষকে যে ঠিকানা দিতে পেরেছি, জীবনটাকে পাল্টে দিতে পারলাম, এরচেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসএসএ