চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় অসুস্থ এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। মাদক আইনসহ তার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা আছে। যুবদলের নেতাদের দাবি, রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য তাকে মাদকের মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারাগারের জেলার দেওয়ান মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম।
মৃত মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৭) চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার উত্তর কুলগাঁও এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে।
জেলার দেওয়ান মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘শাহজাহান যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শারীরিকভাবে তিনি খুবই দুর্বল অবস্থায় ছিলেন। বিভিন্ন সময় তাকে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত ২৬ মার্চ থেকে কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে তার অবস্থার অবনতি হয়। তখন তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। রাত ১২টার দিকে তিনি সেখানে মারা যান।’
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার নাসির উদ্দিন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, বায়েজিদ বোস্তামি থানায় মাদক আইনে দায়ের হওয়া এক মামলায় গ্রেফতার হয়ে ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর শাহজাহান কারাগারে যান। ওই মামলাসহ তার বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা আছে। মামলাগুলো বিচারাধীন আছে।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, নব্বইয়ের দশকে ছাত্রদলের নেতা ছিলেন শাহজাহান। নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত দস্তগীর চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। সর্বশেষ চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
শাহেদ বলেন, ‘শাহজাহান রাজপথের সক্রিয় নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আকবর শাহ ও বায়েজিদ বোস্তামি থানায় ছয়টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে পাঁচটি মামলাই কথিত নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা হয়। মাদক আইনের মামলাটিও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাঁসানোর জন্য করা হয়েছিল।’