‘বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত ১ মায়ের পেটের ৩ ভাই’
৩০ মার্চ ২০২২ ১৯:০০
ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত এক মায়ের পেটের তিন ভাই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত থেকে সতর্ক থাকতে হবে। জামায়াত এখন গর্তে ঢুকেছে। বিপদ দেখলেই তারা গর্তে ঢোকে। বিপদ কেটে গেলেই গর্ত থেকে বের হয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করে।
বুধবার (৩০ মার্চ) রাজধানী মুগদায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ইউনিট আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের কোনো বিকল্প নেই দাবি করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নির্বাচন আসলেই তাদের ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে যায়, মিথ্যার আশ্রয় নেয়, ষড়যন্ত্রের জাল বোনে।
জয় নিশ্চিত করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নানক বলেন, মনে রাখতে হবে- নির্বাচনে আমরা হেরে গেলে হেরে যাবে দেশের স্বাধীনতা, হেরে যাবে মানবতা। দেশের মানুষের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তাই নেতাকর্মীদের সর্তক থাকতে হবে। দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
বিএনপি নেতাদের লজ্জা-শরম চলে গেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, তারা মনে করে বাঙালি জাতি ভুলে যায়। তারা হয়তো ভুলে গেছে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার কথা। কিন্তু বাঙালি জাতি ভোলেনি। শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা হয়েছে। কারা সেই পরিকল্পনা করেছে? সেদিন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমান হাওয়া ভবনে পরিকল্পনা করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। সে হামলায় আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী এখনও বিকলাঙ্গ হয়ে আছে। মৃত্যু যন্ত্রণায় ভুগছে। ২৪ জন দলের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী নিহত হয়েছে। বিএনপি ভুলে গেলেও এই দেশের জনগণ সেই হামলার ঘটনা কখনোই ভুলবে না।
সরকারের চলমান উন্নয়নের বহুমুখী চিত্র তুলে ধরে নানক বলেন, খালেদার আমলে শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে ছিল। অথচ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। আমরা এখন শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে দেশের মানুষ এতো বিদ্যুতের আলো দেখেনি। কিন্তু শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে গেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। মাসের শুরুতেই তাদের মোবাইল ফোনে মেসেজ চলে যায়।
ইউনিয়নের সভাপতি শফিকুল আলম শামিমের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান খাইরুলের পরিচালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী। সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত, সহ-সভাপতি খন্দকার এনায়েতুল্লাহসহ থানা ও মহানগরের নেতারা।
সারাবাংলা/এনআর/একেএম