ঢাকা কলেজ ও টিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৭
৩০ মার্চ ২০২২ ২৩:৪৩
ঢাকা: রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে আহত ঢাকা কলেজের সাত শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেছে।
বুধবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। রাত সাড়ে ১০টার দিকেও থেমে থেমে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।
সংঘর্ষে আহত ঢাকা কলেজের সাত শিক্ষার্থী হলেন— কায়েছ (২৪) জসিম উদ্দিন (২৮) সুজন (২৮) খোকন (২৮), রুবেল (২৬), মামুন (২৬) ও সিহাব(২৬)। তাদের ঢামেকের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করে বেশ কয়েকটি ককটেলের শব্দ শুনে লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যেই সায়েন্স ল্যাব থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত সড়কের দুপাশ ফাঁকা হয়ে যায় এবং ছাত্রদের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।
তারা আরও জানান, সংঘর্ষের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সব প্রবেশপথ। সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের একাডেমিক বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা মিরপুর সড়ক থেকে পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।
নিউ মার্কেট থানার ডিউটি অফিসার মো. মেহেদী হাসান জানান, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও টিচার্স ট্রেনিংয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।
নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, ‘টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষার্থী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ থেমে থেমে চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সড়ক থেকে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ক্যাম্পাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত রয়েছে।’
এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাত জন ছাত্র আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসে। তাদের কয়েক জনের হাতে-পায়ে আঘাত রয়েছে। তবে অবস্থা গুরুতর না।
তবে কী কারণে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এখনও তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে আহত শিক্ষার্থীদের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
সারাবাংলা/ইউজে/এসএসআর/পিটিএম