করোনায় ফের মৃত্যুশূন্য দিন
৩১ মার্চ ২০২২ ১৭:১৩
ঢাকা: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়ে কেউ মারা যাননি। আগের দিন করোনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে একইসময়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একজন বেড়েছে। আগের দিন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন ৭২ জন, গত ২৪ ঘণ্টায় তা হয়েছে ৭৩ জন।
এদিকে, নতুন সংক্রমণ বাড়লেও কমেছে শনাক্তের হার। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৮৯ যা গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপপরিচালক ও কোভিড ইউনিটের প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খানের সই করা কোভিড-১৯ বিষয়ক নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ৮৭৯ ল্যাবের মাধ্যমে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৮৭৯টি ল্যাবের মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৬০টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫৭টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব ৬৬২টি।
এদিন সারাদেশ থেকে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৩৯০টি। নতুন ও পুরনো নমুনা মিলে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৯ হাজার ৩৭০টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত অ্যান্টিজেনসহ দেশে নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১ কোটি ৩৮ লাখ ২৪ হাজার ৭টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯১ লাখ ৭২ হাজার ২৩টি। আর বেসরকারি পর্যায়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬ লাখ ৫১ হাজার ৯৮৪টি।
নতুন সংক্রমণ ও শনাক্তের হার
আগের দিন দেশে ৭২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের মোট সংক্রমণ শনাক্ত হলো ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৫৭৭ জনের শরীরে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ, যা আগের দিন ছিল দশমিক ৮৯ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ।
সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েছে
আগের দিন দেশে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৮৭৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৮৮৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মোট সুস্থ হলেন ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৩০৪ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু শূন্য
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে কেউ মারা যাননি।
বয়সভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যা
পরিসংখ্যান বলছে— এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণকারী সর্বোচ্চ ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের সংখ্যা ৯ হাজার চারজন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের। যা সংখ্যায় ৬ হাজার ৭৮৩ জন। শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী শিশু মারা গেছে ৮৮ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১০০ বছর ঊর্ধ্ব মানুষ মারা গেছেন ৩৭ জন।
সারাবাংলা/এসএসএ