Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আটা-ময়দার তৈরি মোনাস-প্যানটোনিক্স যাচ্ছিল মিটফোর্ড মার্কেটে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩১ মার্চ ২০২২ ১৭:৩৩

ঢাকা: ঠাণ্ডা-শ্বাসকষ্ট আর গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায় সর্বাধিক বিক্রিত ওষুধ মোনাস-১০ আর প্যানটোনিক্স-২০। এই ট্যাবলেট দুটির বিশাল একটি চালান যাচ্ছিল মিটফোর্ড মার্কেটে। কিন্তু বিপুল পরিমাণ ওষুধের এই চালান আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবির দাবি, পুরো চালানের সব ওষুধই নকল। যা আটা, ময়দা আর রঙের মিশ্রণে তৈরি।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

বিজ্ঞাপন

ডিবি বলছে, নকল এসব ওষুধ মিটফোর্ড মার্কেটে আসার পর ব্যবসায়ীদের হাত ধরে কিংবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া হতো।

বুধবার (৩০ মার্চ) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চকবাজারের একটি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে মোনাস-১০ ও প্যানটোনিক্স-২০ নকল ওষুধের চালানটি আটক করে ডিবি লালবাগ বিভাগ। এ সময় আলী আক্কাস শেখ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, ফকিরাপুল এলাকা থেকে ওই ওষুধ তৈরি কারখানার মালিক গিয়াস উদ্দিন আহমেদকেও গ্রেফতার করা হয়।

দুজনের জবানবন্দি অনুযায়ী, রাজধানীর চকবাজার, ফকিরাপুল ও চুয়াডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ১০ লাখ ৩৪ হাজার ২৮০ পিস নকল প্যানটোনিক্স-২০ ট্যাবলেট ও ১৮ হাজার পিস নকল মোনাস-১০।

এদিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘অধিক মুনাফার আশায় আয়ুর্বেদ ওষুধ তৈরির আড়ালে বাজারে বহুল প্রচলিত এ ওষুধটি তৈরি করে বিপণন করছিল চক্রটি। এসব নকল ওষুধ সেবনে কোনো ধরনের উপকার হয় না, বরং উল্টো নানা ধরনের জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। চিকিৎসাপত্রে এসব ওষুধের নাম দিলে কোন রোগী যদি এসব নকল ওষুধ সেবন করেন তাহলে কোনো উপকার হয় না। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকরাও আস্থা হারান। নকল ওষুধ তৈরি বড়ধরনের একটি ক্রাইম।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘৩-৪ বছর ধরে চক্রটি এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। ১৬ টাকার মোনাস-১০ তারা বিক্রি করতো ২ টাকায়, ৬-৭ টাকার প্যানটেনিক্সও তারা ২ টাকায় বিক্রি করতো। এসব নকল ওষুধ তৈরিতে আটা-ময়দা ও রঙ ব্যবহার করা হতো। এমনকি ডাই বা স্টেরয়েড ব্যবহৃত হতে পারে। নন ফার্মাসিউটিক্যাল এসব ওষুধ সেবনে কোনো উপকার তো হয়ই না, বরং কিডনি-লিভার, হৃদযন্ত্র বা শ্বাসতন্ত্র মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।’

বিপণন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নকল ওষুধগুলো প্রথমে মিটফোর্ডে আসে। এরপর সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কম দামে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।’ ডিবি প্রধান বলেন, ‘এসব নকল ওষুধের কারণে দেশের স্বাস্থ্যসেবা হুমকির মুখে। দয়া করে এসব কেউ বানাবেন না। বানালে বিপদে পড়ে যাবেন। যারাই নকল ওষুধ তৈরির চেষ্টা করবে তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা ভেজালবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করছি।’

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

আটা প্যান্টনিক্স ময়দা মোনাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর