করোনায় টানা চতুর্থ দিন মৃত্যুশূন্য, শনাক্ত ৫৬
৩ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৩৩
ঢাকা: আগের তিন দিনের মতো গত ২৪ ঘণ্টাতেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে কেউ মারা যাননি। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত নতুন ব্যক্তির সংখ্যাও একই রয়েছে। আগের দিন ৫৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল, গত ২৪ ঘণ্টায়ও এই সংখ্যা ৫৬ জন।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার কমেছে। আগের দিনের শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ থেকে এই হার কমে হয়েছে শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ।
রোববার (৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপপরিচালক ও কোভিড ইউনিটের প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খানের সই করা কোভিড-১৯ বিষয়ক নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ৮৭৯ ল্যাবের মাধ্যমে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৮৭৯টি ল্যাবের মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৬০টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫৭টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব ৬৬২টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশ থেকে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৭ হাজার ৯৯টি। এদিন নতুন ও পুরনো মিলিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ হাজার ৮৭টি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত অ্যান্টিজেনসহ দেশে নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৭৪টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯১ লাখ ৮২ হাজার ৯০২টি। আর বেসরকারি পর্যায়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬ লাখ ৬১ হাজার ৯৭২টি।
নতুন সংক্রমণ ও শনাক্তের হার
আগের দিন দেশে ৫৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায়ও এ সংখ্যা ছিল ৫৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের মোট সংক্রমণ শনাক্ত হলো ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৭৭০ জনের শরীরে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা আগের দিন ছিল শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যাও কমেছে
আগের দিন দেশে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৭১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা কমে হয়েছে ৫৯৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মোট সুস্থ হলেন ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৫১০ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।
মৃত্যুশূন্য দিন
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে কেউ মারা যাননি। ফলের আগের মতোই করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ১২২ জনে স্থির রয়েছে। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
পরিসংখ্যান বলছে— এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরষ ১৮ হাজার ৫৯৩ জন (৬৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ) এবং নারী ১০ হাজার ৫২৯ জন (৩৬ দশমিক ১৫ শতাংশ)। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৭৯৫ জন (৪৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ), দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ হাজার ৮৬২ জন (২০ দশমিক ১৩ শতাংশ) এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ খুলনা বিভাগে ৩ হাজার ৭১৮ জন (১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ)।
বয়সভিত্তিক মৃত্যুর তথ্যে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ৯ হাজার ৪ জন মারা গেছেন ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী, যা মোট মৃত্যুর ৩০ দশমিক ৯২ শতাংশ। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৭৮৩ জন মারা গেছেন ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী (২৩ দশমিক ২৯ শতাংশ) এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ১০৪ জন মারা গেছেন ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী (১৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ)। সব মিলিয়ে ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী মারা গেছেন ২০ হাজার ৮৯১ জন যা মোট মৃত্যুর ৭১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
সারাবাংলা/এসএসএ