পহেলা বৈশাখে মুখোশ পরা যাবে না, ঢাবি ক্যাম্পাসে যানচলাচল নিষিদ্ধ
৩ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৫৬
ঢাকা: পহেলা বৈশাখে কোনো ধরনের মুখোশ পরিধান করা যাবে না। কোনো ধরনের ব্যাগও বহন করা যাবে না। এ ছাড়া নববর্ষ উপলক্ষে আগামী ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ব্যতিত অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না। পাশাপাশি মোটরসাইকেল চালানো থাকবে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
রোববার (৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে নববর্ষের অনুষ্ঠানসমূহ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে ২৭ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মুখোশ ও ব্যাগ বহন প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরা যাবে না কোনো ধরনের মুখোশ। বহন করা যাবে না কোনো ধরনের ব্যাগ। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
নববর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—ক্যাম্পাসে নববর্ষের দিন সকল ধরনের অনুষ্ঠান বিকাল ৫ টার মধ্যে শেষ করতে হবে। এ জন্য বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা যাবে। ৫টার পর বের হওয়া ছাড়া কোনোভাবেই আর প্রবেশ করা যাবে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধুমাত্র নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেইট ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন।
মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রসঙ্গে নির্দেশনা প্রদান করে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়—টিএসসি থেকে বের হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর সংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তন হয়ে পুনরায় টিএসসিতে গিয়ে শেষ হবে। নির্মাণাধীন মেট্রোরেল প্রকল্পের কারণে চলাচলের পথ সরু থাকায় ও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—নববর্ষের দিন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট বন্ধ থাকবে। আগতরা উদ্যানে প্রবেশের জন্য চারুকলা অনুষদ সম্মুখস্থ ছবির হাটের গেইট, বাংলা একাডেমির সম্মুখস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন। এবং বের হওয়ার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট, রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন গেইট ও বাংলা একাডেমির সম্মুখস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও আগতদের সুবিধার্থে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বর এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি পুলিশের আওতায় নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করা হবে।
অনুষ্ঠিত সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘নববর্ষ-১৪২৯ সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করেছে। সবার প্রতি আহ্বান, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং মেট্রোরেলের চলমান উন্নয়ন কাজের জন্য চলাচলের ক্ষেত্রে সতকর্তা অবলম্বন করে আনন্দময় পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নববর্ষ উদযাপন করবেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, প্রক্টর, অফিস প্রধান এবং বিভিন্ন সমিতির প্রতিনিধিরা।
সারাবাংলা/আরআইআর/একে