রফতানি পণ্যে জালিয়াতি: ৮ লাখ টাকা পাচারের চেষ্টা
৩ এপ্রিল ২০২২ ২০:৩৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ঘোষণার চেয়ে বেশি তৈরি পোশাক রফতানি করে আট লাখ টাকা পাচারের চেষ্টা করেছে ঢাকার দক্ষিণখানের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে বিষয়টি জানতে পেরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই রফতানি চালান চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে আটকে দেয়। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ঢাকার দক্ষিণখানের রফতানিমুখী এই পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এইচ এম ফ্যাশন অয়্যারের বিরুদ্ধে রোববার (০৩ এপ্রিল) কাস্টমস আইনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্রিসে ২২ হাজার ৯৫৩ পিস তৈরি পোশাক রফতানির ঘোষণা দিয়ে অগ্রণী ব্যাংকে ঋণপত্র খুলেছিল এইচ এম ফ্যাশন অয়্যার। গত ২০ মার্চ চট্টগ্রাম কাস্টমসে শুল্কায়ন সম্পন্ন করে তাদের নিযুক্ত সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান এমআইএম ইন্টারন্যাশনাল। রফতানি চালানের কনটেইনার নগরীর বন্দর এলাকায় বেসরকারি এছাক ব্রাদার্স কনটেইনার ডিপোতে রাখা ছিল। রফতানি পণ্যের মধ্যে ছিল টি-শার্ট, শার্ট, টপস, শর্টপ্যান্ট, জিনসপ্যান্ট ও লেডিস টাইস।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের রফতানি বিভাগের কর্মকর্তারা চালানটির রফতানি স্থগিত করে ডিপোতে আটকে রাখে। গত শুক্রবার (০১ এপ্রিল) কনটেইনার খুলে কায়িক পরীক্ষা হয়। এতে ঘোষণার চেয়ে ১৮ হাজার ২১৫ পিস বেশি অর্থাৎ ৪১ হাজার ১৬৮ পিস তৈরি পোশাক পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রিসে যে পরিমাণ পণ্য রফতানির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল তাতে মূল্য নির্ধারিত ছিল ১০ লাখ ৩৬ হাজার ১০১ টাকা। কিন্তু সঠিক ঘোষণা থাকলে মূল্য আসত ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫২৭ টাকা। অর্থাৎ ঘোষণার চেয়ে বেশি পণ্য রফতানির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ৮ লাখ ১৭ হাজার ৪২৬ টাকা পাচারের চেষ্টা করেছে। কায়িক পরীক্ষায় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা আজ (রোববার) কাস্টমস কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। কাস্টমস আইনে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
এর আগে, গত ২২ মার্চ একই কনটেইনার ডিপোতে ঢাকার গুলশান অ্যাভিনিউ’র আরএম সেন্টারের ইনফিনিটি সার্ভিস সলিউশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্যের চালান আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণার চেয়ে বেশি পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠিয়ে ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৮৬ টাকা পাচারের চেষ্টা করেছিল।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম