চকবাজারের ‘বড় বাপের পোলায় খায়’ এখন বগুড়ার আকবরিয়ায়
৩ এপ্রিল ২০২২ ২১:২৮
বগুড়া: বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী আকবরিয়া হোটেল প্রথমবারের মত ঢাকার চকবাজারের ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছে। ঢাকার ‘বড়বাপের পোলায় খায়’ ঠোঙ্গায় ভরে নিয়ে যায়’ নামের কয়েকটি খাবারের মিশ্রণ (মুরগি, ঘি, মটর ডাল সিদ্ধ, খাসির কলিজা, ডিম) এবার এখানে পাওয়া যাচ্ছে।
রমজানের প্রথম দিনেই ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ইফতারের মধ্যে আরও পাওয়া যাচ্ছে- খাসির রান, কলিজা ভুনা, চিকেন ফ্রাই, কোয়েল পাখি, হালিম, বুট, চিকেন বল, জালি কাবাব, শামী কাবাব, মিল্ক ব্রেড পাকুড়া, চিকেন ব্রেড পাকুড়া, বিফ চপ, লাচ্ছি, ফালুদা, ঝুড়ি ভাজা, চিড়া ভাজা, বাদাম ভাজা, নিমোক পাড়া, ডাল ভাজা, বুন্দিয়া, জিলাপি, বেগুনী, ডাল পিয়াজি, সবজি পিয়াজি, বুট ভুনা, চিকেন গ্রিল, তান্দুরী চিকেন, চিকেন জালি কাবাব, চিকেন বুস্টার, চিকেন শাশলিক, চিকেন চিলি, চিকেন রোল, মাটন রোল, মাটর ব্রেড পাকুরা, মিল্ক ব্রেড পাকুরা, চিকেন ব্রেড পাকুরা, চিকেন ড্রামস্টিক, ব্রেড টোস্ট, শামী কাবাব, টিকা কাবাব, জালি কাবাব, ডিপ চপ, চিকেন বল, বিফ বল, ডিম চপ, হালুয়া, খিচুড়ি, পাটিশাপটা, মরিচী, আলুর চপ, রেশমি জিলাপিসহ ইত্যাদি।
আকবরিয়া কর্তৃপক্ষ বলছে, এগুলো খাবার ঢাকার মানে এখন বগুড়ায় পাওয়া যাবে। বগুড়ার মানুষকে ঢাকার খাবার তুলে দিতেই এবার প্রথমবারের মত আকবরিয়া ঢাকার ইফতার সামগ্রী পসরা সাজালো। ঢাকা থেকে বাবুর্চি নিয়ে এসে এই রান্না করা হয়েছে।
ঢাকার বাবুর্চি মো. খোকন জানান, তিনি গত প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে তার বাবার সঙ্গে ঢাকার চকবাজারে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করে আসছে। এবারই প্রথম বগুড়ায় এসে আকবরিয়াতে চাকরি নিয়ে কাজ করছেন। তিনিসহ তার কয়েকজন সহযোগী ঢাকার চকবাজারের সমস্ত ইফতার সামগ্রী তৈরি করতেন।
এছাড়াও আকবরিয়ার টক দইয়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। একদিকে রোজা, আরেক দিকে প্রচণ্ড গরম। এই গরমে রোজাদার ব্যক্তিদের ঠাণ্ডা পানীয় খাবার খেতে চায় বেশি। সাদা দই দ্রুত শরীরকে ঠান্ডা করে। এই কারণে বগুড়ায় ইফতারে আকবরিয়ার সাদা দইয়ের চাহিদা বেশি।
ইফতার কিনতে আসা শারমিন আরা জানান, ভেজালমুক্ত এবং মানসম্মত খাবারের কারণেই আকবরিয়া হোটেলের ইফতারির আইটেমগুলো সবার প্রিয়। আর সে কারণেই ভিড় বেশি থাকে।
আকবরিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাসান আলী আলাল বলেন, ‘ক্রেতার সন্তুষ্টিই আমাদের অহংকার। ভোক্তাদের চাহিদা পূরণে যেকোনো ধরনের ত্যাগে প্রতিষ্ঠানটি বদ্ধপরিকর। ক্রেতা ও বিক্রেতা একে অপরের পরিপূরক। তাদের মাঝে ভালোলাগা, আত্মতৃপ্তি, সমন্বয় ও ক্রেতাদের উত্তম সেবা দেওয়া নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি।’
সারাবাংলা/এমও