Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রামে পরিবারসহ কানাডায় পিআর পাওয়ার সুযোগ

সারাবাংলা ডেস্ক
৫ এপ্রিল ২০২২ ১৯:২৩

বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (পিআর) বা স্থায়ী অভিবাসন দিতে কানাডার প্রাদেশিক সরকারগুলোর পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের বিজনেস প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রাম। অন্যান্য বিজনেস প্রোগ্রামে কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পেলে সেখানে যাওয়ার পরও বিভিন্ন ধরনের শর্ত পূরণের পর তবেই পিআর মেলে। তবে স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রামের অধীনে যেকোনো ব্যক্তি সরাসরি কানাডার পিআর পেতে পারেন। কেবল ব্যক্তি নন, শর্ত পূরণ করতে পারলে পরিবারের সদস্যসহই মিলতে পারে কানাডার পিআর। তবে এর জন্য থাকতে হবে উপযুক্ত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, আর্থিক সক্ষমতা।

বিজ্ঞাপন

আইনি পরামর্শ বিষয় সারাবাংলার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘সারাবাংলা লিগ্যাল চেম্বারস পাওয়ারড বাই প্রিমিয়ার ব্যাংক‘ অনুষ্ঠানে কানাডার স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রামসহ দেশটিতে পিআর পাওয়ার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন কানাডার দুই ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট। ‘কানাডার স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি সারাবাংলার ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার ফ ম সাজিদ বিন হোসেন এবং অ্যাডভোকেট শারমিন আলম। তারা দু’জনেই এক্লারা ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করছেন। ‘সারাবাংলা লিগ্যাল চেম্বারস’ সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন।

আলোচনার শুরুতেই ব্যারিস্টার সাজিদ স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রামের গুরুত্ব ও সুবিধা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের নাগরিকদের কাজ করার সুযোগ কিংবা পিআর দিতে কানাডা সরকারের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র সরকার পরিচালিত এসব বেশিরভাগ প্রোগ্রামই বন্ধ রয়েছে। এর বাইরে প্রাদেশিক সরকারগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়িক উদ্যোগের জন্য পিআর দিয়ে থাকে। কিন্তু সেসব প্রোগ্রামের আওতায় আবেদন অনুমোদন পেলে কানাডার ওয়ার্ক পারমিট বা কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। এরপর আরও বেশকিছু ধাপ পেরিয়ে বিভিন্ন শর্ত পূরণ করে তবেই পিআর পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রামটি পরিচালনা করে ফেডারেল গভর্নমেন্ট বা কানাডার কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রোগ্রামের আওতায় আবেদন অনুমোদন পেলে সরাসরি পিআর নিয়ে কানাডায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ফলে কানাডায় যারা স্থায়ী হতে চান, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং এখনকার সময়ের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি প্রোগ্রাম।

বিজ্ঞাপন

স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রামের অধীনে কানাডায় পিআর পেতে চাইলে চারটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে বলে জানান ব্যারিস্টার সাজিদ। প্রথমত, এমন একটি ব্যবসায়িক আইডিয়া থাকতে হবে যেটি কানাডায় জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে সক্ষম। সেই ব্যবসায়িক পরিকল্পনাটি কানাডার অনুমোদিত কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে তুলে ধরতে হবে, যারা এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে সম্মত হবে। এরকম একটি ব্যবসায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ স্বত্ব থাকতে হবে আবেদনকারীর। পাঁচ জন মিলে ১০ শতাংশ করে ব্যবসায়ের ন্যূনতম ৫০ শতাংশের অংশীদার হলে সেই পাঁচ জনের জন্যই একসঙ্গে আবেদন করা যাবে স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রামে।

দ্বিতীয়ত, অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ওই ব্যবসায়ের জন্য ‘লেটার অব সাপোর্ট’ নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসায়িক পরিকল্পনা পছন্দ করলে যদি তাতে বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়, তাহলে তারা এই ‘লেটার অব সাপোর্ট’ দেবে। এর সঙ্গে কানাডার অভিবাসন বিভাগ তথা আইআরসিসি থেকে একটি ‘কমিটমেন্ট সার্টিফিকেট’ও পাওয়া যাবে। তখন পিআরের জন্য আবেদন করা যাবে।

তৃতীয়ত, ভাষাগত দক্ষতা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে কানাডা সরকার নির্ধারিত ‘সিএলবি লেভেল ৫’ থাকতে হবে। সিএলবি লেভেল এর কম হলে চলবে না। চতুর্থত, কানাডায় গিয়ে থাকা-খাওয়ার আর্থিক সক্ষমতা প্রমাণের জন্য ন্যূনতম ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে। এক্ষেত্রে চার জনের পরিবারের জন্য কমপক্ষে ২৪ হাজার ৫৫৩ কানাডিয়ান ডলার দেখাতে হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১৭ লাখ টাকা।

ব্যারিস্টার সাজিদ বলেন, এই চারটি ধাপে নিজেকে প্রমাণ করতে পারলেই কানাডায় পিআর বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং দ্বিতীয় ধাপটি, যেখানে কানাডা সরকারের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ব্যবসায়িক উদ্যোগের জন্য বিনিয়োগ ও সমর্থন জোগার করতে হবে। এই ধাপ উৎরে যেতে হলে সেরকম ভালো ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করতে হবে।

https://youtu.be/4f9x3uhij0Q

কী ধরনের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রামের জন্য কাজে লাগতে পারে— এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট শারমিন আলম বলেন, এক্ষেত্রে ব্যবসায়িক পরিকল্পনাটি হতে হবে অনন্য। এমন একটি ব্যবসা হতে হবে যেটি কানাডায় আর্থিকভাবে সফল হবে, যেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। উদ্যোক্তা বা সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা আছে, তারা এক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যবসায়িক উদ্যোগ নিয়ে আবেদনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। আবার কানাডা সরকার অনুমোদিত যেসব প্রতিষ্ঠানের কথা বলছি, তারা সবাই যে বিনিয়োগ করবেন, তেমন নয়। ব্যবসায়িক উদ্যোগের পরিকল্পনা পছন্দ হলে অ্যাঞ্জেল কোম্পানি বা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানগুলো তাতে বিনিয়োগের জন্য প্রতিশ্রুতি দেবে। অন্যদিকে ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যান্য ধরনের সহায়তা দেবে, সেগুলো পিআর আবেদনের জন্য সহায়ক হবে।

স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রামের সুবিধার কথা তুলে ধরে অ্যাডভোকেট শারমিন বলেন, অন্য কোনো পিআর প্রোগ্রামেই সরাসরি পরিবার নিয়ে কানাডায় যাওয়ার সুযোগ নেই। সি-১০, সি-১১ বা এ ধরনের প্রোগ্রাম যেগুলো রয়েছে, সেগুলোতে প্রথমে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কানাডায় যেতে হবে। এরপর তাকে দুয়েক বছরে বেশকিছু বিষয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ করতে হবে। এরপর পিআরের জন্য আবেদনের সুযোগ মিলবে। কিন্তু স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রামের আওতায় সরাসরি পিআরের জন্য আবেদন করা যাবে, এবং সেটি পরিবারসহ। শুধু তাই নয়, ব্যবসায়িক উদ্যোগের জন্য অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো ‘লেটার অব সাপোর্ট’ দিলে পিআর পাওয়ার আগ পর্যন্ত সেই লেটার দেখিয়ে পিআর পাওয়ার আগেই ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে সেই ব্যবসায়ের কাজ শুরু করার সুযোগও রয়েছে। তবে ওই সময়ে তিনি অন্য কোনো কাজ করতে পারবেন না, যে ব্যবসায়িক উদ্যোগ দেখিয়ে পিআরের আবেদন করেছেন সেটির জন্যই কাজ করতে হবে। তা না করলে পিআর আবেদন মঞ্জুর না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

এই ভিসা প্রোগ্রামের আরও একটি সুবিধাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, অন্য কোনো প্রোগ্রামে কানাডায় গিয়ে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ না করতে পারলে পিআরের আবেদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ ক্ষেত্রে বিজনেস স্টার্টআপ প্রোগ্রাম কিছুটা ব্যতিক্রম। যে ব্যবসায়িক উদ্যোগের জন্য পিআর পাওয়ার সুযোগ মিলবে, পিআর পাওয়ার পর যদি সেই ব্যবসাটি কোনো কারণে চালু রাখা সম্ভব নাও নয়, সেক্ষেত্রেও পিআরে কোনো প্রভাব পড়বে না। ফলে এই প্রোগ্রামটি যথেষ্টই আকর্ষণীয়।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সাজিদ বলেন, অন্যান্য ভিসা প্রোগ্রামের জন্য সাধারণত ব্যক্তির বয়সের একটি সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে যেকোনো বয়সের ব্যক্তিই আবেদন করতে পারেন। আবার অনেক প্রোগ্রামেই ব্যবসায়িক উদ্যোগের জন্য বিনিয়োগের ন্যূনতম পরিমাণ নির্ধারণ করে দেওয়া থাকে। ওই নির্দিষ্ট পরিমাণের নিচে বিনিয়োগ হলে ভিসা পাওয়া যায় না। বিজনেস স্টার্টআপ প্রোগ্রামে সেই বিনিয়োগেরও কোনো সুনির্দিষ্ট পরিমাণ বেঁধে দেওয়া নেই। তবে বাংলাদেশি বা এশিয়ানদের জন্য ভাষাগত দক্ষতা একটি বাধা হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রেও ‘সিএলবি লেভেল ৫’ যথেষ্টই কম। আগ্রহী কারও জন্য এটুকু দক্ষতা অর্জন করতে পারা কঠিন হওয়ার কথা নয়।

স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রামের আবেদন থেকে শুরু করে পিআর পেতে কত সময় লাগতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট শারমিন বলেন, এটি সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায় না। তবে বিভিন্ন ধাপে আবেদনের কিছু সময়সীমা রয়েছে। প্রথমত, আগ্রহী ব্যক্তিকে ব্যবসায়িক পরিকল্পনাটি সাজাতে হবে। সেটি ঠিকমতো তৈরির পর অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সেই ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তুলে ধরতে হবে। এক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ‘লেটার অব সাপোর্ট’ পেতে তিন মাস থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সেই লেটারটির মেয়াদ থাকে ছয় মাস। অর্থাৎ লেটার পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে পিআরের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর সাধারণভাবে এ ধরনের আবেদন মঞ্জুর হতে ১২ থেকে ১৬ মাস পর্যন্ত সময় নেওয়া হয়। তবে করোনা মহামারিতে দুই বছরেও অনেক আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত আসেনি। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় লাগতে পারে।

অনেক ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান তিন মাসের মধ্যেই ওয়ার্ক পারমিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে থাকে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ব্যারিস্টার সাজিদ বলেন, দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিটের ব্যবস্থা হওয়াটা অনেকটাই অসম্ভব। কেননা, কানাডায় বেশিরভাগ পেশায় চাকরি পেতে হলেই লেবার মার্কেট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (এলএমআইএ) থাকতে হয়। সেটি পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। এই ধাপ পার করতেই পাঁচ থেকে ছয় মাস লেগে যায়। এরপর এলএমআইএ পেলে তারপর ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করা যায়। সেখানে আবার তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগে। এখন করোনা পরিস্থিতির কারণে আরও বেশি সময় লাগছে। ফলে দুই-তিন মাসের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিটের প্রতিশ্রুতি পূরণ করাটা প্রায় অসম্ভব। তবে অনেকেই এ ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করছে। দেখা যায়, তারা এক কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট দেওয়ার কথা বলছে। এরপর কানাডায় যাওয়ার পর ওই ব্যক্তিকে রেস্টুরেন্ট বা অন্য কোনো খাতে ‘অড জব’ করতে হচ্ছে। এসব বিজ্ঞাপনে প্রতারিত হয়ে ভারত-বাংলাদেশের অনেকেই অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে কানাডায় গিয়ে খুবই অল্প মজুরির কাজ করছেন। এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কানাডায় যাওয়ার পর পিআর ভিসা প্রসেসিংয়ের ধাপগুলো কী কী— এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার সাজিদ বলেন, ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর পিআরের আবেদন করতে হলে প্রথমেই কাজের অভিজ্ঞতা দেখাতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্কিল লেভেল জিরো তথা ম্যানেজারিয়াল বা সুপারভাইজার পজিশনে কাজ করলে ন্যূনতম এক বছরের অভিজ্ঞতা দেখাতে হবে। আবার স্কিল টাইপ ‘এ’ বা ‘বি’, অর্থাৎ যেসব চাকরি করতে হলে ইউনিভার্সিটি বা কলেজের ডিগ্রি প্রয়োজন, সেগুলোতে নিয়োজিত থাকলেও অবশ্যই এক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা দেখাতে হবে। এরপর আবেদন করতে হবে পিআরের জন্য।

তিনি আরও বলেন, অনেকেই হয়তো মাস্টার্স করে তারপর কানাডায় কাজ করতে যান। কিন্তু ভাষাগত দক্ষতার অভাব বা অন্য কোনো সমস্যার কারণে তারা ‘এ’ বা ‘বি’ টাইপ স্কিল অনুযায়ী কাজ করতে পারেন না। তখন তাদের ‘সি’ বা ‘ডি’ ক্যাটাগরির কাজে নিয়োজিত হতে হয়। এসব ক্ষেত্রে পিআর পাওয়াটা চ্যালেঞ্জিং।

ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট হিসেবে অনেক প্রতিষ্ঠানই চমকপ্রদ সব বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে। তবে এ ধরনের সব কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান রেগুলেটেড অর্থাৎ কানাডা সরকারের অভিবাসন বিভাগের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নয় বলে জানাচ্ছেন অ্যাডভোকেট শারমিন। তিনি বলেন, আইনি পরামর্শের জন্য যেমন কাউকে স্বীকৃত আইনজীবীর কাছে যেতে হয়, স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে যেমন স্বীকৃত চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়, তেমনি অভিবাসন বিষয়েও পরামর্শ পেতে হলে স্বীকৃত কনসালট্যান্টের কাছে যেতে হবে। কিন্তু আমরা যেসব কনসালট্যান্ট ফার্ম দেখি, তার বড় একটি অংশই রেগুলেটেড বা সরকার স্বীকৃত নয়। কিন্তু যারা বিদেশে যেতে চান, তারা অনেক টাকা-পয়সা এবং সময় খরচ করেন। ফলে তারা কোন কনসালট্যান্সি ফার্মের কাছে যাচ্ছেন, তাদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে হবে। কানাডার ক্ষেত্রে আইআরসিসি’র ওয়েবসাইটে এ ধরনের স্বীকৃত কনসালট্যান্টদের তালিকা রয়েছে। সেখানে কনসালট্যান্টের নাম বা মেম্বারশিপ নাম্বার দিয়ে সার্চ করার সুযোগ আছে। ওই সাইটে সার্চ করে মেম্বারশিপ নম্বর পেলে তখনই বোঝা যাবে যে তিনি একজন স্বীকৃত কনসালট্যান্ট। এ বিষয়ে সবার সতর্ক থাকা দরকার।

সারাবাংলা/টিআর

অ্যাডভোকেট শারমিন আলম ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট কানাডা ব্যারিস্টার ফ ম সাজিদ বিন হোসেন সারাবাংলা লিগ্যাল চেম্বার স্টার্টআপ ভিসা স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর