ই-জিপির মতো আসছে ই-অডিটিং
৫ এপ্রিল ২০২২ ১৯:৫৪
ঢাকা: ই-জিপির (ই-টেন্ডারিং) মতো আসছে ই-অডিটিং। এটিও হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি মাইলফলক। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। সরকার ও বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারের মাঝে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ তদারকির সুযোগ পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ফলে একদিকে যেমন অনিয়ম ও দুর্নীতি কমছে, অন্যদিকে টেকসই অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) পাবলিক-প্রাইভেট স্টেকহোল্ডার কমিটির (পিপিএসসি) সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বক্তব্য দেন পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম, আইএমডির সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান প্রমুখ।
এম এ মান্নান বলেন, ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। এর একটি বড় উদাহরণ হচ্ছে ই-জিপি সিস্টেম। সেইসঙ্গে সরকারি প্রকল্পে জনগণকে তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। জনগণের জন্য কাজ হয়, সেই কাজে যদিও তাদের অংশগ্রহণ থাকে সেটি আরও অনেক ভাল হওয়ার কথা। তিনি বলেন মাঠ পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলীদেরকে আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে। তাদের যত বেশি কাজ করার কথা অনেক ক্ষেত্রে তারা করছেন না।’
ড. শামসুল আলম বলেন, ‘বাইরে থেকে অনেকেই কথা বলেন। তাদের ধারণা সুশাসন নেই। কিন্তু ভেতরে এসে দেখলাম সরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কতটা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’
প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘বর্তমানে ছোট ছোট প্রকল্পে জনগণকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ভবিষ্যতে বড় প্রকল্পেও এরকম কার্যক্রম করা যেতে পারে। কিন্তু সেজন্য জনগণের পর্যাপ্ত জ্ঞানের প্রয়োজন।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) আয়োজনে কমিটির সভায় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন সিপিটিইউ মহাপরিচালক মো. সোহেলুর রহমান চৌধুরী।
তিনি জানান, বর্তমানে ই-জিপির মাধ্যমে কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ই-অডিটিং সিস্টেম চালুর জন্য কার্যক্রম চলছে। এটি হলে ঘরে বসেই অনলাইনেই অডিটররা অডিট করতে পারবেন। এটি হবে ই-জিপির মতো আর একটি মাইলফলক।
সোহেলুর চৌধুরী বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পে জন অংশগ্রহণ স্বচ্ছতা বাড়ায় ও জবাব দিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে।’ তিনি ই-জিপি সিস্টেম (ই-টেন্ডারিং) প্রসঙ্গে বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়ও সরকারি কেনাকাটা কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। অনলাইনে এই প্রক্রিয়ায় দরপত্র কার্যক্রম করায় সময়, শ্রম, অর্থ সবকিছুই সাশ্রয় হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ইজিপিতে ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩০৫ কোটি টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছে। টেন্ডার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬২ কোটি টাকার। অর্থ সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। শতশত টন কাগজ ব্যবহার করতে হয়নি।’
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম