শিশু শ্যালককে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ
৫ এপ্রিল ২০২২ ২২:২৩
যশোর: তিন বছর বয়সী শ্যালককে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে মীর আবু বকর ফরিদ (২০) নামে এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে কোন্দলের জের ধরে শিশু শ্যালককে একদিন আগে ফরিদ অপহরণ করেছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে শিশু রেহানকে অসুস্থ অবস্থায় সন্তান পরিচয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন ফরিদ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এর পরপরই ফরিদকে পুলিশ আটক করে। ফরিদ মাদকাসক্ত বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত রেহান ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মাতুইল খুরিড়াবাড়ি ওমর বাবুর্চির ছেলে। আটক মীর আবু বকর ফরিদ একই এলাকার জঙ্গলবাড়ী গ্রামের মীর সাইফুল ইসলামের ছেলে।
যশোর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে রেহানকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ছেলে পরিচয়ে ভর্তি করেন ফরিদ। দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। রেহানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষত দেখে হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবিকাদের সন্দেহ হয়। এসময় হাসপাতাল থেকে পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে ফরিদকে আটক করে।
ওসি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটক ফরিদ তার বাড়ি যাত্রাবাড়ী জানালে সেখানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে কোন্দল চলছিল ফরিদের। এর জের ধরে গতকাল সোমবার (৪ এপ্রিল) শ্যালক রেহানকে তিনি অপহরণ করেন। এ ঘটনায় তার শ্বশুর ওমর বাবুর্চি ওই দিনই যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।
পুলিশ জানাচ্ছে, অপহরণের পর শিশু রেহানকে নিয়ে যশোরের ঝিকরগাছায় বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ফরিদ। পথে শিশুটির ওপর অমানবিক নিযাতন করেন তিনি। একপর্যায়ে রেহান অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় যশোরে পৌঁছে রেহানকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিজের ছেলে পরিচয়ে ভর্তি করান ফরিদ।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, ‘হেড ইনজুরি’ দেখিয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু তার অবস্থা ছিল অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এদিকে, নিহত রেহানের বাবা ওমর বাবুর্চি জানিয়েছেন, সোমবার ছেলে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের কাছে খবর পান, তার শিশুসন্তান আর বেঁচে নেই।
সারাবাংলা/টিআর