ইসির সংলাপে ডাকা ৩৪ সাংবাদিকের মধ্যে উপস্থিত ২১
৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৩৬
ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে দেশের শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের পর বুধবার (৬ এপ্রিল) বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মতবিনিময় বা সংলাপে ৩৪ জন সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানানো হলেও শেষ পর্যন্ত ২১ জন সাংবাদিক উপস্থিত হয়েছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে তৃতীয় ধাপের এই সংলাপটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে, গত ১৩ মার্চ শিক্ষক সমাজ এবং ২২ মার্চ সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে দুই ধাপে সংলাপ করে ইসি।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ২১ সাংবাদিকের মধ্যে রযেছেন যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক মাহবুব কামাল, ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত, মানবকণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দুলাল আহমদ চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক বিভু রঞ্জন সরকার, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক এনাম আহমেদ, দৈনিক আমার সংবাদের সম্পাদক মো. হাশেম রেজা, দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দ্য ডেইলি অবজারভারের অনলাইন ইনচার্জ কাজী আব্দুল হান্নান, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, দৈনিক ভোরের ডাকের সম্পাদক এ কে এম বেলায়েত হোসেন, আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, দ্য ডেইলি স্টারের এক্সিকিউটিভ এডিটর সৈয়দ আশফাকুল হক, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন।
এর আগে, ২০১৭ সালে কে এম নুরুল হুদার কমিশনও দায়িত্ব নেওয়ার পর সমাজের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে ওই সংলাপ শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে নুরুল হুদা কমিশন ৪০টি রাজনৈতিক দল, নারী নেতৃত্ব, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল। এবার নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সংলাপ শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিইসিসহ চার কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে। নির্বাচন কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এবং আনিছুর রহমান। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইসির বাকি চার সদস্য শপথ নেন। পরদিন ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিশন ইসিতে যোগদান করেন। যোগদানের পর গত ১৩ মার্চ প্রথম শিক্ষক সমাজের ৩০ জনকে সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানালেও প্রথমদিনের সংলাপে মাত্র ১৩ জন উপস্থিত হন। অন্যদিকে গত ২২ মার্চ সুশীল সমাজের ৩৯ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানালেও মাত্র ১৯ জন অংশ নেন।
সারাবাংলা/জিএস/এসএসএ