এ পর্যন্ত ৩০ কোটি ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হয়েছে— সংসদে প্রধানমন্ত্রী
৬ এপ্রিল ২০২২ ১৫:১০
ঢাকা: এ পর্যন্ত বহির্বিশ্ব থেকে ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২০ ডোজ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের আওতায় চলতি বছরের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১২ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৯৪৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ১১ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ।
বুধবার (৬ এপ্রিল) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রশ্নোত্তর পর্বে মোরশেদ আলমের (নোয়াখালী-২) এক প্রশ্নের জবাবের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর পরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা হিসেবে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদানের বিষয়টি সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ লক্ষ্যে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার আগেই আমরা তা সংগ্রহের বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তারই ফলস্বরূপ দেশব্যাপী ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শুরু হয় এবং অদ্যাবধি তা চলমান রয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ, বাংলাদেশ (NITAG, B) এর সুপারিশ এবং করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির অনুমোদনক্রমে দেশব্যাপী গত ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর হতে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করা হয়। বর্তমানে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর যাদের চার মাস অতিক্রান্ত হয়েছে তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৮১ হাজার ১৯৩ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জনস্বার্থ বিবেচনায় জনগণকে কোভিড-১৯ অতিমারি থেকে সুরক্ষা প্রদান, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা এবং অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন সংগ্রহের প্রচেষ্টা নেয়। আমাদের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে বিশ্ববাজারে প্রচলিত দরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে।’
তবে ভ্যাকসিন কেনার ক্ষেত্রে নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট থাকায় এর মূল্য বা এ সংক্রান্ত ব্যয় প্রকাশ করা সমীচীন হবে বলে সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম