হাজতবাসের কারণে সাময়িক বরখাস্তের বিধান কেন অবৈধ নয়
৬ এপ্রিল ২০২২ ১৬:২৩
ঢাকা: ফৌজদারি মামলায় হাজতবাসের কারণে সাময়িক বরখাস্তের বিধান কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারি চাকুরি বিধি-১৯৭৩, পার্ট ১, বিধি ৭৩-এর নোট ২, কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং বাতিল ঘোষণা করা হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি রিট আবেদনকারীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৬ এপ্রিল) একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট এই রুল জারি করেন।
রিটে শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (বিজি), উপ পরিচালক (ঢাকা বিভাগ), জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফরিদপুর, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, সদরপুর এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার সদরপুরকে বিবাদী করা হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মো. মাজেদুল কাদের।
ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার চর চাঁদপুর নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ আজিজ খানের রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এই রুল জারি করেন।
২০১০ সালের ফরিদপুর জেলার সদরপুরের চর চাঁদপুর নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ আজিজ খান একটি ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার হয়ে প্রায় তিন মাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হন। ওই মামলায় হাজতবাসের কারণে ২০১৩ সালে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং নিয়মানুযায়ী তিনি খোরপোষ ভাতা পেয়ে আসছিলেন।
বাংলাদেশ সরকারি চাকুরি বিধি ১৯৭৩ এর পার্ট ১, বিধি ৭৩-এর নোট ১ অনুযায়ী তাকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ ওই ফৌজদারি মামলা চলমান থাকায় তাহার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ চলমান রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি চাকরি বিধি ১৯৭৩, পার্ট ১, বিধি ৭৩-এর নোট ২, সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক এবং আবেদনকারীর মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী দাবি করে রিট আবেদনটি দাখিল করা হয়।
একইসঙ্গে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারির আবেদনে করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম