মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে হাইওয়ে পুলিশের অভিযান
৭ এপ্রিল ২০২২ ১৪:১২
ভৈরব: ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাকসহ যেকোনো পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ। এছাড়া মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অবৈধ যানবাহন ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রেবাস, মোটরসাইকেলও সিএনজির বিরুদ্ধে ৩১৬টি মামলা রুজু করে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশ ।
ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে ভৈরব থেকে কুলিয়ারচরের আগরপুর পর্যন্ত এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মরজাল পর্যন্ত দিনরাত ২৪ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করছে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সরেজমিনে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
পুলিশের এ অভিযানে সন্তোষ্ট প্রকাশ করেছেন ট্রাক চালক ও সহকারীরা। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ভৈরবগামী ট্রাকের চালক ইব্রাহিম মিয়া জানান,আগে পথে পথে বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদা দিতে হতো। কিন্ত আজ ভৈরবে আসার পথে কেউ চাঁদা চাইনি, বিষয়টা কেমন যেন অবাক লাগছে। সব সময় যদি এভাবে সড়কে গাড়ি চালাতে পারতাম তাহলে অনেক ভালো থাকতে পারতাম।
পিকআপভ্যান চালক সেলিম মিয়ার সঙ্গে কথা হয় ভৈরবের দুর্জয় মোড়ে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘রুটে গাড়ি চালাতে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। তবে কেন এ চাঁদার টাকা দিতে হবে? আমরা তো বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সে গাড়ি চালাই,গাড়ির কাগজ পত্র ঠিক আছে। তারপর ও বিভিন্ন নামে-বেনামে চাঁদা দিতে হয়েছে। আজ কোনো চাঁদা দিতে হয়নি। তাই খুব ভালো লাগতাছে আজ। বাংলাদেশটা যদি এমন হতো, তাহলে কত সুন্দর হতো?’
এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হোসেন জানান, মহাসড়কে পণ্যবাহী বা যেকোনো ধরনের যানবাহনে কোনো প্রকার চাঁদাবাজি করতে কাউকে দেবো না। আমরা হাইওয়ে পুলিশ চাদাঁবাজি বন্ধে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করছি। কেউ যদি চাঁদাবাজি করে আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া বেপরোয় গতিতে গাড়ি চালিয়ে কোনো প্রকার দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য সড়কে স্প্রিড গান ব্যবহার করা হচ্ছে। বেপরোয় গাড়ি চালালে স্পিড গানের মাধ্যমে শনাক্ত করে মামলা ও জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। গত মাসে মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অবৈধ যানবাহন ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রেবাস, মোটরসাইকেলও সিএনজির বিরুদ্ধে ৩১৬টি মামলা রুজু করে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
সারাবাংলা/এনএস