পাকিস্তানে সাংবিধানিক সংকট কোথায়?
৭ এপ্রিল ২০২২ ১৫:০৭
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট আস্থা ভোটের প্রস্তাব নাকচ করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে কি না, এ সংক্রান্ত এক শুনানিতে অংশ নিয়ে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন— সবকিছু যদি সংবিধান অনুযায়ীই হয় তাহলে সাংবিধানিক সংকট কোথায়?
অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে সর্বোচ্চ আদালতে চতুর্থ দিনের শুনানি চলাকালে বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির আইনজীবীর উদ্দেশে এ প্রশ্ন রেখেছেন বলে জানিয়েছে ডন।
প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, তিনিও তাই বলছেন, পাকিস্তানে কোনো সাংবিধানিক সংকট নেই।
স্থানীয় সময় সকালে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারই শুনানি শেষ করে রায় দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সর্বোচ্চ আদালত, এমন খবর জানিয়েছে ডন।
এই আদালতের রায়েই ক্রিকেট মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রীত্ব পাওয়া ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারণ হতে যাচ্ছে। বুধবার শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল বৃহস্পতিবার সকাল সকালই আদালত শুরুর তাগিদ দিয়েছিলেন।
রয়টার্স বলছে, শুনানি শেষে আদালত পার্লামেন্ট পুনর্বহালের আদেশ, নতুন নির্বাচনের আহ্বান কিংবা ইমরান খানের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতেও বলতে পারে। আবার আইন বিভাগের কার্যক্রমে বিচার বিভাগ হস্তক্ষেপ করতে পারে না, এমন রায়ও আসতে পারে।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জাতীয় পরিষদে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলে ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি তা বাতিল করে দেন। এরপরই ইমরানের প্রস্তাবে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি রোববার পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। তবে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে সোমবার আদালতে শুনানি শুরু হয়। চতুর্থ দিনের মতো বৃহস্পতিবার শুনানি চলছে।
বুধবারের শুনানিতে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) ও প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির আইনজীবীরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে কথা বলেছেন।
বিরোধীদলগুলোর অভিযোগ, ইমরান করোনা মহামারির কারণে বিপর্যস্ত পাকিস্তানের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সরকারকে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা পূর্ণ করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইমরান ক্ষমতায় এসেছিলেন, ওই প্রতিশ্রুতি পূরণেও তিনি ব্যর্থ।
এদিকে, ডেপুটি স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করতে পারেন কি না, আদালত তা-ই খোঁজার চেষ্টা করছে বলে গত কয়েকদিন ধরে প্রধান বিচারপতিসহ পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের অন্যরাও বলেছেন।
সারাবাংলা/একেএম