ঢাকা: রাজধানীর কলাবাগানে দিনে-দুপুরে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগে সুজন নামে এক সিএনজি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ এপ্রিল) রাতে যাত্রাবাড়ির ধোলাইরপাড় এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবগান থানার এসআই সাইদুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, শনিবার বিশেষ আদালতের মাধ্যমে তাকে তিনদিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। তবে আদালত রিমান্ড ও আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে সাইদুর রহমান জানান, ১০ মার্চ রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডের আইডিয়াল কলেজের সামনে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরছিলেন ওই শিক্ষার্থী। এ সময় সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে মেয়েটির পথ আটকে তাকে হয়রানির চেষ্টা করেন সুজন। মেয়েটি পাত্তা না দিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছিলেন। এরপরও কয়েকবার পথ আটকে ভেতর থেকে হাত বাড়িয়ে মেয়েটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন ওই সিএনজি চালক। একপর্যায়ে মেয়েটি চালকের হাত ধরে তাকে বাইরে টেনে আনার চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় আশপাশের মানুষজন ছুটে আসলে সিএনজি চালিয়ে সটকে পড়েন অভিযুক্ত যুবক। সেদিনই কলাবাগান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী।
আরও পড়ুন: সিএনজি চালকের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী
তদন্তের দায়িত্ব পান কলাবাগান থানার এসএই সাইদুর রহমান। তিনি জানান, দায়িত্ব পেয়েই তিনি ওই এলাকার ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা থেকে সিএনজির নাম্বার উদ্ধার করেন। পরে রাজধানীর গ্যারেজগুলোতে খোঁজ নিতে শুরু করেন। এ সময় তিনি নিজেকে একজন সিএনজি চালক হিসেবে পরিচয় করান ও চালানোর জন্য সিএনজি খুঁজছেন বলে জানান।
অবশেষে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর যাত্রাবাড়ির ধোলাইরপাড় এলাকার এক গ্যারেজে ওই সিএনজির খোঁজ পান সাইদুর রহমান। সেসময় গ্যারেজে ছিল না চালক সুজন। পরে গ্যারেজ ম্যানেজারের নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে জরুরিভাবে ডাকা হয় তাকে। আসার পর শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ সুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে অপরাধ স্বীকার করেছেন সুজন। তবে তার দাবি, মেয়েটির সঙ্গে ভাড়া না পোষানো নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।