Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিএনপি নেতাদের ইফতার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ এপ্রিল ২০২২ ২২:০৩

ঢাকা: স্বজনহারা (গুম-খুন হওয়া দলীয় নেতা-কর্মী) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে  ইফতার করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

শনিবার (৯ এপ্রিল) ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে এই ইফতার মাহফিল আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল। এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ ২০ দলীয় জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ইফতারের এই অনুষ্ঠানে কৃষক দলের পক্ষ থেকে গুম-খুনের শিকার নেতা-কর্মীদের ৫০ পরিবারের সদস্যদের ঈদ উপহার দেওয়া হয়। ইফতারের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে গুম ও খুনের শিকার নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তাহসিনা রুশদির লুনা, আফরোজা ইসলাম আঁখি, মুনিয়া আখতার, সাফা, উম্মে হাবিবা মিম তাদের মন-বেদনার কথা প্রকাশ করেন।

এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে গুমের শিকার নেতা-কর্মীদের পরিবারকে নিয়ে এক সাথে কৃষক দল এই ইফতার পার্টি করেছে সেজন্য কৃষক দলকে ধন্যবাদ জানাই। জাতিসংঘের যে চার্টার সেই চার্টারে এ্যানফোর্স ডিজএ্যাপিয়ারেন্সকে বলা হয় চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ। এই কাজটি আওয়ামী লীগ সরকার গত কয়েকবছর ধরে করেছে এবং এই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, গণতন্ত্রের জন্য যারা সংগ্রাম-লড়াই করছেন তাদেরকে গুম করেছে, খুন করেছে, হত্যা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আপনাদের সামনে বসে আছেন আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলীর স্ত্রী। ইলিয়াস আলী প্রায় ১০ বছর আমাদের মাঝ থেকে নিখোঁজ হয়ে গেছেন। এখানে আরো অনেকে আছে ছ্টো ছোট বাচ্চা মেয়ে তারা গত ৭/৮/১০ বছর তাদের বাবাকে খুঁজছে। এই রকম প্রায় ৬শ পরিবার আছে যে পরিবারগুলো তাদের পুত্রকে, তাদের স্বামীকে অথবা তাদের পিতাকে খুঁজছে কিন্তু তাদেরকে তারা পাচ্ছে না। এটা প্রমাণিত সত্য যে, এদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা  তুলে নিয়ে গিয়েছিল এবং তারা গুম হয়ে আছে। যেই কারণে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা র‌্যাবের ওপর এসেছে এবং অনেক কর্মকর্তার ওপরে এসেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে এই রমজানের দিনে এই কথা গুলো বলতে আমাদের ইচ্ছা হয় না তারপরও বলতে হয়, আমরা যদি এই সরকারকে সরাতে না পারি, আওয়ামী লীগকে যদি সরাতে না পারি তাহলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না। আজকে সমস্ত অত্যাচার-নির্যাতন,হত্যা-গুম-খুন বন্ধ করতে হলে প্রথম যে বিষয়টি দরকার তা হচ্ছে এই ভয়াবহ দানবকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। সেটা এদের মানুষকে আন্দোলন- গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে করতে হবে। ’

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় ইফতার অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমান, নিতাই রায় চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, মশিউর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, রুহুল কুদ্দুস তালুদার দুলু, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/একেএম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর