Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মগবাজারের সেই জমি অধিগ্রহণে আপিলের অনুমতি পেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৫০

ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি অধিগ্রহণ নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

রোববার (১০ এপ্রিল) রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ আপিল টু আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আপিল আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান বুলু।

মামলার নথি অনুসারে, ১৯৪৫ সালে ওই জমির মালিক বীরেন্দ্রনাথ রায় তার সাড়ে ১৯ কাঠা জমির আমমোক্তারনামা (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) স্থানীয় সিরাজুল হককে দিয়ে যান। এর ২০ বছর পর ১৯৬৫-৬৬ সালে এ জমির খাজনা দিয়ে নিজের নামে নামজারি (মিউটেশন) করান সিরাজুল হক। কিন্তু পরবর্তী সময়ে খাজনা না দেওয়ায় ১৯৯৯ সালে সরকার এ জমির খাজনা দাবি করে মামলা করে। এ মামলার পর ওই বছরের ২৫ জুলাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক ২ হাজার ৭৯২ টাকা খাজনা পরিশোধ করে জমির ভোগ-দখল করতে থাকেন।

২০০৮ সালে মারা যান সিরাজুল হক। এরপর এ জমির খতিয়ান সংশোধন চেয়ে মামলা করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে ২০০৯ সালের ২৩ জুন রমনা ভূমি অফিস এই জমি অধিগ্রহণের জন্য নোটিশ পাঠায়। এরপর ওই বছরের ১৫ নভেম্বর রমনা ভূমি অফিস থেকে জমির মালিককে আরেকটি নোটিশ পাঠানো হয়। তারপর জমি অধিগ্রহণের গেজেটও জারি করা হয়। গেজেট জারির কিছুদিন পর জমির ভোগ-দখলকারী সিরাজুল হকের পরিবারকে উচ্ছেদ করে প্রশাসন।

ওই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে সিরাজুল হকের স্ত্রী মালেকা সিরাজ ও তার পাঁচ সন্তান রিট আবেদন করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১১ সালে গেজেট বাতিল ও জমি অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি (লিভ টু আপিল) চেয়ে ওই বছরই আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

তখন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা দেন। পরে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে ২০১২ সালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

জমি অধিগ্রহণ হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর