ভ্যাকসিন কেন্দ্রে মারধরের শিকার, জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
১০ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৫৮
ঢাকার সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুই শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে প্রায় এক ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী।
রোববার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাবি শিক্ষার্থীরা। এ সময় মহাসড়কের দুই কিলোমিটারের বেশি এলাকায় যানজট দেখা দেয়।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে যান। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানান, রোববার দুপুর ১টার দিকে সাভারের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নিতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. ইমন এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মাজেদ। লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় দুপুর ১টা বেজে যাওয়ায় ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ভ্যাকসিনপ্রত্যাশীদের অনেকেই লাইনে দাঁড়ানো থাকায় লাইন শেষ হওয়া পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুরোধ জানান তারা। এ সময় ভ্যাকসিন প্রয়োগের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, একপর্যায়ে চার জন স্বাস্থ্যকর্মী মিলে ইমন ও মাজেদকে মারধর শুরু করেন। পরে তাদের সাভার মডেল থানায় নিয়ে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিষয়টি সেখানে মীমাংসা হয়নি। স্বাস্থ্যকর্মীরা ইমন ও মাজেদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন। ইমন ও মাজেদ অসুস্থ অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, ওই দুই শিক্ষার্থী জোর করে ভ্যাকসিন নিতে চাইলে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের থানায় নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি নিয়ে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনেছি। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
এ বিষয়ে জানতে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলামকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বা দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীদের বক্তব্যও জানা সম্ভব হয়নি।
সারাবাংলা/টিআর
জাবি শিক্ষার্থীদের মারধর ভ্যাকসিন কেন্দ্র মারধরের শিকার সড়ক অবরোধ