পানির জন্য যুদ্ধ করতে হবে: মেনন
১১ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৪২
ঢাকা: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আগামীতে যুদ্ধ হবে পানি নিয়ে। পানিযুদ্ধের প্রথম শহীদ এই দুই কৃষক। পানি সমস্যা একটি বৈশ্বিক। তাই অচিরেই কৃষকসহ সকল নাগরিকের পানি প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার (১১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় কৃষক সমিতি ও খেতমজুর ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আয়োজনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত নিরাপদ পানি প্রাপ্তি সকল নাগরিকের জন্মগত অধিকার। রাষ্ট্র ও সরকার এই অধিকার প্রতিপালনে অঙ্গিকারাবদ্ধ। নদী দেশের প্রাণ প্রবাহ। তাই দেশের প্রাণ, প্রকৃতি ও কৃষিকে বাঁচাতে নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে।
আদিবাসী কৃষক অভিনাথ ও রবি মার্ডির আত্মহত্যার প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি সঞ্জীব দ্রং। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক।
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, পানির ওপর কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পানি ব্যবস্থাপনায় আদিবাসী কৃষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বরেন্দ্রসহ সকল অঞ্চলে সমবায়ভিত্তিতে পানি ও চাষের ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
পানির জন্য যে আদিবাসীরা প্রাণ দিলেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাদশা বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ হাজার গভীর নলকূপ পরিচালনা করছে। এর মধ্যে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে পানির সমস্যা বেশী। অভিযোগ আছে, পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় বিএমডিএ তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না। এর ফলশ্রুতিই হচ্ছে বরেন্দ্র অঞ্চলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুই কৃষকের মৃত্যু। এ কারণে থানায় মামলা হয়েছে। এটা আইনি প্রক্রিয়ায় চলতেই থাকবে। কিন্তু এই ঘটনা সমগ্র উত্তরাঞ্চলে পানি ব্যবস্থাপনার কাঠামোগত ফাঁদ ও দুর্বৃত্তায়ন দেখে মনে হয়েছে বরেন্দ্র প্রকল্প ১৬টি জেলায় নতুন এক শোষক শ্রেণির জন্ম দিয়েছে। এরা অনেকটা এক দিকে ভূমি সামন্ত, অন্যদিকে পানি সামন্তে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, এটা একটা কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। তাই বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এক জন পাম্পচালক এর আসামি হলেও প্রকৃতপক্ষে বিএমডিএ এর প্রতিটি স্তরে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, দুর্নীতি এর জন্য দায়ী। কার্যত বরেন্দ্র প্রকল্প এখন রাজনৈতিক দুষ্ট চক্রের দখলে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একেএম